প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, ফরিদপুর, আরশিকথাঃ
সালথায় ভারি বর্ষণের মধ্যে মাত্র দুই মিনিটের আকস্মিক ঝড়ে ভর সোনাতুনদী ২০টি কৃষক পরিবারের অন্তত ছোট বড় ৩০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক বিধবা নারীর বসতঘরের ওপর বিশাল গাছ পড়ে ঘরটি মাটিয়ে সাথে মিশে গেছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে অন্ধকার হয়ে গেছে পুরো একটি গ্রাম। বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ভর সোনাতুন্দী গ্রামে ভয়াবহ এ ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এ ছাড়া টানা বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। নিম্নাঞ্চলে বসতবাড়িতে ঢুকে গেছে পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারন মানুষ।ওই এলাকার বাসিন্দা কাজী বল্লভদী পল্লী চিকিৎসক সওকত মোল্লা জানান, টানা বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে ভর সোনাতুন্দী গ্রামে ভয়াবহ ঝড়ে আঘাত হানে।প্রচন্ড বেগে মাত্র দুই মিনিটের ঝড়ের আঘাতে গ্রামের লিটু মুন্সী, ফারুক মুন্সী, মুরাদ মুন্সী, দবির মুন্সী, কাইউম মুন্সী, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানো কাজী, আতি কাজী ও হাফেজ মো. সগির মুন্সির অন্তত ৩০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায় সবাই কৃষক।এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানায় পশ্চিম দিক থেকে শো শো শব্দ করে ঘূর্ণিঝড়েরর মতো আঘাত করে তাদের ঘড়ে।
শুক্রবার দুপুরে বল্লভদী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে ছুটে আসি ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে ২০টি পরিবারের অনেকগুলো বসতঘর। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে সড়কের উপর পড়ে যায়। যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁর ছিড়ে পুরো গ্রাম বিদ্যুতবিহীন রয়েছে। এমন অবস্থায় মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। আমরা দূরযোগ মোকাবেলায় সবসময় প্রস্তুত। সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঝড়ে। সহায়তা দেওয়ার জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
৬ই অক্টোবর ২০২৩