প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন চান যেখানে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান এবং একে প্রভাবমুক্ত রাখাই আমার লক্ষ্য। সেখান থেকে যারাই জিতে আসে আসবে। সেটা হলো বাস্তবতা। মানুষ যাকে চাইবে সে-ই জয়ী হয়ে আসবে। যেমন আওয়ামী লীগকে চেয়েছে (ক্ষমতায়) আওয়ামী লীগ চলে এসেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবণে সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতি করতে গেলে তো ঝুঁকি নিতে হয়। এ সময় ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর তাঁকে দেশে আসতে না দেওয়ার এবং শেখ রেহানার পাসপোর্টটি পর্যন্ত নবায়ন না করে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যেখানে তাঁর বাবার খুনিরা পুরস্কার প্রাপ্ত, যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন এবং সাজাপ্রাপ্তও ছিলো তাদের ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ প্রদান করা হয়, তারাই ক্ষমতায়। তারাই মন্ত্রী-উপদেষ্টা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি গত ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে থাইল্যান্ড সফর করেন। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক এই সফরে তিনি ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০ তম অধিবেশনেও যোগ দেন।তিনি বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা হচ্ছে এই প্রক্রিয়াটাকে আরো গণমুখি এবং স্বচ্ছ করা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রথম আমরা আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। আগে কখনও এটা করা হয়নি।অতীতে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ আর্থিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওপর নির্ভরশীল ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার এটাকে সেখান থেকে মুক্ত করে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত করে দিয়েছে। আলাদা বাজেট দেওয়া হয়েছে।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
২রা মে, ২০২৪