বিশেষ প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ
কথা রাখেনি, ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ এবং মহাকুমা প্রশাসন,এমনটাই অভিযোগ চড়িলাম ব্লকের চেছুড়িমাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুয়াছড়ি এলাকার কৃষকদের। বালুয়াছড়ি এলাকায় রয়েছে শতশত কৃষকের প্রচুর পরিমাণ ধানি জমি সহ বিভিন্ন সবজি ফসল। দীর্ঘদিন ধরেই বালুয়াছড়ি ফসলের মাঠে ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ ৪০ টি পয়েন্ট করে বোম ব্লাস্টিং করার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু মাঠে ফসল থাকার কারণে কৃষকরা বারবার তাদেরকে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ ও নাছোড়বান্দা। তারা বহুবার বহুভাবে চেষ্টা করেছে বালুয়াছড়ি ফসলের মাঠে ব্লাস্টিং করার জন্য। সমস্তভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসনের সাহায্য নেয় ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ। চড়িলাম ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রূপন দাস এবং বিশালগড় মহকুমা শাসক রাকেশ চক্রবর্তী সহ কৃষকদের এক প্রতিনিধি এবং ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ ব্লকের বিডিওর কক্ষে দীর্ঘক্ষণ মিটিং করে সিদ্ধান্ত বালুয়াছড়িতে মাঠের সমস্ত ফসল কৃষকদের ঘরে ওঠার পরেই করা হবে বোম ব্লাস্টিং এবং ফসলের মাঠ থেকে দেড়শ মিটারের মধ্যে যতজন নাগরিকের বাড়ি ঘর রয়েছে সবগুলো বাড়িঘর বোম ব্লাস্টিংয়ের আগে তহশিলদার রেভিনিউ ইন্সপেক্টর এগ্রিকালচার অফিসার এবং ওএনজিসির তরফ থেকে প্রতিনিধি সহ গিয়ে বাড়িঘর গুলো সরজমিনে পরিদর্শন করে আসবে। বোম ব্লাস্টিং শেষ হলে পর আবার প্রশাসনের প্রতিনিধিরা গিয়ে ফসলের মাঠের দেড়শো মিটারের মধ্যে থাকা বাড়িঘরগুলো পরিদর্শন করবে সরেজমিনে। কারণ বোম ব্লাস্টিংয়ের পর বাড়ি ঘর ক্ষতি হয়েছে কিনা সেগুলো পরিদর্শন করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্তটি ছিল এরকম।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল বেলা ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ বালুয়াছড়ি ফসলের মাঠে প্রায় সতেরটি পয়েন্ট তৈরি করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। যদিও ফসলের মাঠের সব ফসল এখনো কৃষকরা বাড়িতে নিতে পারেনি। কারণ অনেকেরই জমির ধান এখনো পাকে নি। যার ফলে কৃষকরা ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ। তাদের আরো অভিযোগ বালুয়াছড়ি এলাকায় প্রচুর গৃহস্থের বাড়ি ঘর বোম ব্লাস্টিংয়ের ফলে ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়নি ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ। বাড়ি ঘরের ক্ষতিপূরণই তারা পায়নি বলে ফসলের মাঠের ক্ষতিপূরণ কি ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দেবে সে ব্যাপারে তারা সন্ধিহান। কৃষকদের অভিযোগ, ওএনজিসি তাদের কাজ শেষ হয়ে গেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়! খোঁজখবর রাখেনা কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ বালুয়াছড়ি এলাকায় দুই মাস আগেই ওএনজির বোম ব্লাস্টিংয়ের ফলে অনেক গৃহস্তের বাড়ি ঘর ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো অধিকাংশই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাওয়া সরকারি ঘর। এক টাকাও ক্ষতিপূরণ দেয়নি ওএনজিসি এমনটাই অভিযোগ কৃষকদের। বাড়ি ঘরের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে আবার শুরু করে দিল ফসলের মাঠে বোম ব্লাস্টিংয়ের কাজ। কৃষকদের অভিযোগ ফসলের মাঠে বোম ব্লাস্টিংয়ের আগে মহকুমা প্রশাসন ব্লক প্রশাসন এবং ওএনজিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফসলের মাঠে বোম ব্লাস্টিংয়ের আগে মাঠের দেড়শ মিটারের মধ্যে থাকা বাড়িঘরগুলো প্রশাসনের প্রতিনিধি সহ সবাই গিয়ে পরিদর্শন করে আসবেন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালবেলা থেকে শুরু হয়েছে বোম ব্লাস্টিংয়ের পয়েন্ট তৈরির কাজ। প্রশাসনের কেউ যায়নি মাঠের দেড়শো মিটারের মধ্যে থাকা বাড়িঘর গুলো পরিদর্শন করতে এমনটাই অভিযোগ কৃষকদের। শুধুমাত্র ওএনজিসি তাদের দুই একজন লোককে পাঠিয়ে দিয়েছে প্রশাসনের কেউ সঙ্গে নেই যার ফলে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ কৃষকরা । ফসলের মাঠে প্রতি পয়েন্টে ৩০০ টাকা করে দেবে ওএনজিসি। এই সামান্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে কি হবে আবার দেয় কিনা ক্ষতিপূরণ তারও কোন গ্যারান্টি নেই এমনটাই জানিয়েছে বালুয়াছড়ির কৃষকরা।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
১৬ই মে ২০২৪