আমার ব্যাপ্তি সম্পর্কে আমার মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে!
আমার ব্যাপ্তি মানে, আমার শরীরটুকু নাকি আমার অস্তিত্ব!
আমার অস্তিত্ব কি
আমাতেই সীমাবদ্ধ নাকি "আমরা' তে!
আমি মাঝে মাঝে যখন দার্শনিকের মতো চিন্তা করি;
তখন আমি আমার অস্তিত্বের অতল খুঁজে পাই না।
আমি যখন রক্ত-হাড়-মা্্সের একটা বাক্সবন্দী একটি মানুষ কল্পনা করি, তাহলে আমি সসীমে সীমাবদ্ধ।
কিন্তু যদি আমি নিজেকে প্রকৃতিলীন বলে চিন্তা করি!
তাহলে এই পৃথিবীর ভিতরেও আমি, এই পৃথিবীর বাইরেও আমি।
আমিত্ব যদি অসীমে ব্যপ্তি লাভ করে, তাহলে তো জিঘাংসা-ঘৃনা-ঈর্ষার
অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যায়।
তখন প্রশ্নটা উঠে,
আমি ঈর্ষাটা করব কার সাথে?
মাঝে মাঝে আমি আরশির সামনে দাঁড়িয়ে চিন্তা করি!
আচ্ছা, আমি হিন্দু না মুসলমান!
আমি কি সংখ্যাগুরু না সংখ্যালঘু!
এই যে পৃথিবী ধর্মীয় বাতাবরণের বিষাক্ততায়
ডুবে যাচ্ছে দিন দিন,
আচ্ছা,
এই অজ্ঞানতার তিমিরের কখন নিরসন হবে?
কখন জ্ঞানচক্ষুর শলাকা
চোখের থেকে এই অঞ্জন তিমিরকে মুক্ত করবে?
আচ্ছা, এই বৃহৎ জ্ঞানের অনুভূতিতে আর কিছু না হোক,
যুদ্ধটা কিন্তু পৃথিবীতে থেমে যাবে, এই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে নির্বাচন নিয়ে যে সন্ত্রাস, যে প্রহসন তা
থেমে যাবে।
আর কিছু না হোক, অন্তত এই পৃথিবীটা শিশুর বাসযোগ্য ভূমিতে পরিণত হবে আবার।
- সৌম্য ভৌমিক, আগরতলা
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
৭ই জুলাই ২০২৪