Type Here to Get Search Results !

লোকসভা নির্বাচনের পর আবারও শুরু হল মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচীঃ আরশিকথা ত্রিপুরা

বিশেষ প্রতিনিধি, আগরতলা, আরশিকথাঃ


লোকসভা নির্বাচনের জন্য কিছুদিন স্থগিত থাকার পর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাহায্য প্রত্যাশী জনগণ এদিন  মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তার আবেদন জানান। 

লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে মানুষজনের অভাব অভিযোগ শুনে তৎক্ষণাৎ সেই সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করতেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর নানাবিধ ব্যস্ততার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু নামক এই জনসংযোগ কর্মসূচিটি। তবে সে সময় মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা ঘোষণা দিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবার পর নিয়মিতভাবে তিনি আবার মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিটি শুরু করবেন। অবশেষে জুলাই এর প্রথম সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু  কর্মসূচিটি আবারও শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে ২২ জন নাগরিক সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাদের অভাব, অভিযোগ ও সমস্যা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে অবগত করেন। এদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী  মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার বিষয়ে দ্রুত সমাধানে সচেষ্ট হন।

চিকিৎসার বিষয়ে সহায়তার জন্য এসেছিলেন পশ্চিম যোগেন্দ্রনগরের আদর্শ কলোনীর প্রসেনজিৎ দাস, বাধারঘাটের রঞ্জিত দাস, কাঁঠালতলীর রাজু ঘোষ, রাণীরবাজার মধুপুরের অর্পিতা দেবনাথ, বামুটিয়ার উত্তম বিশ্বাস, বড়দোয়ালির তপন কুমার রায়, রামনগরের শুক্লা সাহা, হাঁপানিয়ার স্বপন দেবনাথ প্রমুখ। তাদের চিকিৎসার বিষয়ে সহায়তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজ্যেই উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই কথায় কথায় বাইরে যাবার প্রবণতা ত্যাগ করে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ গ্রহণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তাদের পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এবং মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে উপস্থিত জিবিপি হাসপাতাল এবং ক্যান্সার হাসপাতালের সুপারদ্বয়কে চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দেন। সামাজিক ভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে ধলেশ্বরের নমিতা ভৌমিক, জিরানীয়ার আল্পনা সাহার আবেদনের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ সমাজ কল্যাণ দপ্তরের সচিব তাপস রায়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়াও জমি, রাস্তাঘাট, দোকানের তৌজি বিষয়গুলি সমাধানের জন্য ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’তে যারা এসেছিলেন তাদের বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী অবগত হন এবং সঙ্গে সঙ্গে আগরতলা পুর নিগমের মেয়রের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ায় সহায়তা প্রত্যাশীরাও ভরসা পেয়ে বাড়ি বাড়ি গেছেন।মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ডক্টর পিকে চক্রবর্তী, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, স্বাস্থ্য দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব ডক্টর ব্রাক্ষ্মিত কাউর, জিবিপি হাসপাতালের সুপার ডক্টর শঙ্কর চক্রবর্তী এবং ক্যান্সার হাসপাতালের সুপার ডক্টর এস দেববর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


ছবিঃ সংগৃহীত


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ

৪ঠা জুলাই ২০২৪

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.