নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বিচারেও যে ভুল হয় তা অকপটে স্বীকার করল দেশের
শীর্ষ আদালত। তবে ভুল সংশোধনের আগে আদালতের ভুলের মাসুল গুণেই সিকি শতক জেলখানায় কাটাতে
হল উত্তরাখণ্ডের ওম প্রকাশকে। তার বয়স পঁয়তাল্লিশ বছর।তিনি জেলে ঢুকেছিলেন মাত্র ২০
বছর বয়সে। তাঁর জীবনের পঁচিশটা বছর কে ফেরাবে, সেই উত্তর অবশ্য জানা গেল না সুপ্রিম
নির্দেশেও।শেষ পর্যন্ত যে তিনি জেল থেকে বেরোতে পারছেন, ওম প্রকাশ সেটাকে নতুন
জীবন ভাবছেন। কারণ, ২০১২ সাল অবধি তাঁর মাথার উপরে ঝুলছিল মৃত্যুদণ্ডের ফাঁস। ছেলের
প্রাণভিক্ষা চেয়ে ওম প্রকাশের মায়ের দ্বিতীয় আবেদনে সে বছর সারা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি,
তবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে। শেষ পর্যন্ত সেই মেয়াদের
১৫ বছর আগে মুক্তি পাচ্ছেন ওম প্রকাশ। জানা গেছে, দায়রা আদালত থেকে
হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে বার বার যে কথা জানিয়েও এতদিন সুরাহা পাননি তিনি, এবার তাঁর
সে কথাটাই মন দিয়ে শুনেছে বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চ।
যে ঘটনায় বন্দি, সেই সময়ে যে তিনি নাবালক ছিলেন, ওম প্রকাশের সে কথাটা মন দিয়ে শোনার
কথা এতদিন দরকার বলেই মনে করেনি কোনও কোর্ট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে যখন বছর
১৪ মাত্র বয়স, পরিবারের নিদারুণ দারিদ্র শিশু শ্রমিক বানিয়েছিল ওম প্রকাশকে। মালিকের
চোটপাট, গালাগাল, জুলুম আর সহ্য করতে না–পেরে নাবালক ছেলেটি মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে
আঘাত করেছিল বলে অভিযোগ। সস্ত্রীক মারা যান লোকটি। সে ঘটনায় ওম প্রকাশ অবশ্য গ্রেপ্তার
হন ২০০১ সালে। তার বয়স তখন ছিল কুড়ি–একুশ। শীর্ষ আদালতের এই পদক্ষেপে খুশি ওম প্রকাশের
পরিবার।
AKB TV News
10.01.2025