.jpg)
"সংস্কৃতি মানুষের আত্মার প্রতিচ্ছবি।" ভারত এক প্রাচীন দেশ, যেখানে অনেক দিনের রীতি ও সংস্কৃতি আজও টিকে আছে। আমাদের দেশের ভাষা, পোশাক, খাবার, উৎসব ও শিল্প সারা বিশ্বে বিখ্যাত।ভারতীয় ঐতিহ্য আমাদের জীবনযাত্রা, আচার-অনুষ্ঠান ও নৈতিকতার পরিচয় দেয়।এই দেশে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন ও বৌদ্ধ সবাই মিলেমিশে থাকে।ভারতের ঐতিহ্যবাহী পোশাক যেমন শাড়ি, ধুতি, কুর্তা-পাজামা এখনো অনেক মানুষ পরেন।এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়—বাংলার রসগোল্লা, পাঞ্জাবের মাখন, দক্ষিণ ভারতের ইডলি-ডোসা ও রাজস্থানের দাল-ভাটি খুবই জনপ্রিয়।ভারতের নাচ ও গান যেমন ভরতনাট্যম, কত্থক, লোকসংগীত আমাদের ঐতিহ্যের অংশ।এছাড়া, দীপাবলি, ঈদ, বড়দিন, দুর্গাপূজার মতো উৎসব আমাদের সংস্কৃতিকে সুন্দর করে তোলে।
ভারতীয় ঐতিহ্য শুধু পুরনো দিনের গর্ব নয়, এটি আমাদের আজকের ও আগামী দিনের সম্পদ।যোগ ব্যায়াম, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা, অতিথিদের সম্মান করা এবং অহিংসার শিক্ষা আমাদের ঐতিহ্যের বড় দিক।ভারতে "অতিথি দেবো ভব" বলে অতিথিদের ঈশ্বরের মতো সম্মান করা হয়।বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা, ছোটদের প্রতি ভালোবাসা এবং প্রকৃতির সঙ্গে মিলে-মিশে থাকার শিক্ষা আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ দিক।ভারতীয় মন্দির, মসজিদ, গির্জা ও গুম্বজ শুধু ধর্মীয় স্থান নয়, এগুলো আমাদের স্থাপত্যশিল্পের পরিচয় দেয়।তাজমহল, অজন্তা-ইলোরা গুহাচিত্র, কুতুব মিনার, কনার্কের সূর্য মন্দিরের মতো ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য আমাদের অতীতের গৌরব প্রকাশ করে
আমাদের দেশের ঐতিহ্য শুধু দেশের মধ্যেই সীমিত নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।বিশ্বের অনেক দেশেই আজ যোগ ব্যায়াম জনপ্রিয় হয়েছে, ভারতীয় খাবারও বহু দেশে পাওয়া যায়।অনেক বিদেশি পর্যটক ভারতীয় সংস্কৃতি দেখতে ও শিখতে আসেন।আমাদের উচিত এই ঐতিহ্যকে ভালোবাসা, সংরক্ষণ করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া।যদি আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে রক্ষা করি, তাহলে দেশ আরও সুন্দর ও শক্তিশালী হবে, এবং গোটা বিশ্ব আমাদের সংস্কৃতির সৌন্দর্য দেখতে পাবে।
- শ্রেয়াস দাস
অষ্টম শ্রেণি
ভবনস্ ত্রিপুরা বিদ্যামন্দির
অতিথি কলাম
২৮ মার্চ, ২০২৫
