নিজস্ব প্রতিনিধি,
গত
শুক্রবার সকালে আচমকা কেঁপে ওঠে মায়ানমার। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭।
উৎপত্তিস্থল সে দেশের সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। সেই সময় কম্পন অনুভূত হয় বাংলাদেশের ঢাকা-সহ একাধিক জায়গায়।
পাশাপাশি এর প্রভাব পড়ে ভারতেও। কেঁপে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ
একাধিক জেলা এবং সিকিমও। এছাড়া ভূমিকম্পের ব্যাপক প্রভাব পড়ে মায়ানমারের প্রতিবেশী
থাইল্যান্ডেও। ভেঙে পড়ে একের পর এক বহুতল ব্রিজ। কয়েক মিনিটের মধ্যে ফের কম্পন
অনুভূত হয়। সেই ‘আফটারশকে’র মাত্রা ছিল ৬.৭। এরপরও চলতে থাকে লাগাতর আফটারশক।
ভূবিজ্ঞানী জেস ফিনিক্স মায়ানমারকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, ভূপৃষ্ঠের নিচে ইউরেশীয়
প্লেটের সঙ্গে ভারতীয় প্লেটের সংঘর্ষ যেহেতু অব্যাহত রয়েছে, তাই আগামী কয়েক মাস
ধরে ‘আফটারশক’ চলতেই থাকবে। সেদিনের
ভূমিকম্পে যে বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়েছে তা ৩৩৪টি পরমাণু বোমার শক্তির সমান
বলে মার্কিন ভূবিজ্ঞানীরা এমনটাই দাবি করেছেন। এদিকে, ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত
মায়ানমারের পাশে দাঁড়াতে ‘অপরেশন ব্রহ্ম’ ঘোষণা করেছে ভারত। ইতিমধ্যে বায়ুসেনার
বিমানে ১৫ টন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে সেদেশে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু,
কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হাইজিন কিট, জেনারেটর এবং জরুরি কিছু
ওষুধ। ইতিমধ্যে মায়ানমারের ইয়াংগানে পৌঁছে গিয়েছে ওই ত্রাণ সামগ্রী। মায়ানমারের
প্রতি ভারতের বন্ধুত্বের হার বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি
বলেন, “ভারত প্রথম ধাপের মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে মায়ানমারে।”
Akb tv news
30.03.2025