নিজস্ব প্রতিনিধি,
ভারতের
বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার পর পেঁয়াজের উপর থেকে ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক তুলে নেওয়ার
সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র সরকার। এদিকে, আগামী দুসরা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে ভারতীয়
পণ্যের উপর আমেরিকার অতিরিক্তি রফতানি শুল্ক।তার আগেই এই সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার।প্রসঙ্গত,
২০২৪ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজের রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা এই
সিদ্ধান্তের জেরে পেঁয়াজ রফতানি আরও বেড়ে যাবে।
তবে দেশের বাজারে এই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বাড়তে পারে। অতিরিক্ত রফতানি
শুল্ক তুলে নেওয়ায় আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যে ভারতের সুবিধা হবে। প্রায় দেড় বছর ধরে
ন্যূনতম দর বেঁধে দেওয়া সহ পেঁয়াজ রফতানিতে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে রেখেছিল ভারত
সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘পেঁয়াজের উৎপাদন
বৃদ্ধি হওয়া এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আসায় স্বস্তি ফিরেছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগস্ট
থেকে পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছিল। পাশাপাশি দামও
বেড়েছিল। সে জন্যই তখন রফতানি শুল্ক চাপানো হয়েছিল।’ প্রায় দেড় বছর রফতানিতে
নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভারত থেকে পেঁয়াজের রফতানিতে সেভাবে সমস্যা দেখা দেয়নি।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৭.১ লক্ষ টন পেঁয়াজ রফতানি করা হয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১৮
মার্চ পর্যন্ত তা হয়েছে ১১.৬ লক্ষ টন। এদিকে, মার্কিন শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে
ভারতের পেঁয়াজে অতিরিক্ত রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।তবে
ভারতের এই সিদ্ধান্তে লাভবান হবে প্রতিবেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশ। পড়শি দেশ পেঁয়াজের
জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল। সম্প্রতি তারা পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় বেশি
নোট গুণতে হচ্ছে। ভারত সরকার গত বছর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও
বাংলাদেশকে তা থেকে ছাড় দিয়েছিল। উল্লেখ্য,
পেঁয়াজ রফতানিতে বিশ্বের প্রথম সারিতে রয়েছে ভারত।
Akb tv news
24.03.2025