আমি গাছ নই, কিন্তু গাছের মতো,
আমি ফুল নই, কিন্তু ফুলের মতো,
আমি পেঁচা নই, কিন্তু পেঁচার মতো,
আমি চাতক নই, কিন্তু চাতকের মতো।
গাছ নই, কিন্তু গাছের মতো,
গাছ চিৎকার না করলেও,আমিতো করতে পারি।
গাছ শুনতে না পারলেও, আমিতো শুনতে পারি,
গাছ প্রতিবাদ না করতে পারলেও আমিতো করতে পারি।
ফুল নই, কিন্তু ফুলের মতো,
ফুলকে ছিড়লে সে তো কিছু বলতে পারে না,
কিন্তু আমার বেলায়, আমি তো চাইলেই বলতে পারি।
ফুলের সর্বস্য চুষে নিলেও, কিছু বলে না সে,
কিন্তু আমার বেলায়, আমি তো চাইলেই বলতে পারি।
পেঁচা নই,কিন্তু পেঁচার মতো,
সে তো দিনে ঘুমোয়, আমিও তো রাতেও পারি না।
ভয় লাগে, ভয় করে,ভয়ে শরীর কেঁপে যায়,
যদি আমার সম্মান কেউ কেরে নিয়ে চলে যায়।
চাতক নই, কিন্তু চাতকের মতো,
চাতকতো থাকে বৃষ্টির আশায়,
আমি নাহলে থাকি,
স্বাধীনতা পাবার আশায়।
নারী আমি, যাবো আর কই,
নেই তো কোনো আপনার সই।
নারী আমি, তাই কি কেঁদে খাবো ভাত,
অত্যাচারী শাসক দেবে কি সব সময় আমার সাথ।
নারী আমি, আমি কি তোদের ইচ্ছের দাসী?
নারী আমি, আমিও কি কেবল তোদের দুঃখের সাথী?
নারী আমি, আমার কি নেই কোনো সম্মান!?
চাই ওই বা কত, একটু সম্মান সকলের মতো।।
মেঘা পাল
সপ্তম শ্রেণি
ভবনস্ ত্রিপুরা বিদ্যামন্দির
আরশিকথা পাঁচমিশেলি
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
২০ এপ্রিল ২০২৫