নিজস্ব প্রতিনিধি,
অপরাধ একটাই শিশুটির। সে কন্যা
সন্তান হিসেবে জন্ম নিয়েছে। নিজের তিন মাসের কন্যা সন্তানকে মারধর সহ বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ উঠল শিশুটির বাবার
বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে
সম্প্রচারিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জানা গেছে, খয়েরপুর দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রাণ গোপাল ঘোষের ছেলে গৌতম ঘোষ
গত এক বছর আগে বিয়ে করেন। এরপর তাদের ঘরে
গত তিন মাস আগে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন গৌতম ঘোষ।
এরপর বার বার তার স্ত্রীকে কন্যা সন্তানটিকে বিক্রি করার প্রস্তাব দেয় গৌতম। তাতে
তার স্ত্রী রাজি না হওয়ায় তিন মাসের এই ছোট্ট কন্যা সন্তানটিকে মারধর করা শুরু
করে। পরে তার স্ত্রী সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে গত পয়লা বৈশাখ বাড়ি থেকে
বের হয়ে যায়। এদিনই যুব প্রেরণা সামাজিক
সংস্থার চোখে পড়ে এই মহিলা ও তার কন্যা সন্তানটি।ওই সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে ওই
মহিলা সহ তার ছোট্ট কন্যা সন্তানকে আশ্রয় দেওয়া হয় তাদের কাছে।এরপর বুধবার যুব
প্রেরণা সামাজিক সংস্থার সদস্যরা বোধজংনগর থানায় ঘটনাটি বিস্তারিত ভাবে জানায়।
সেই মোতাবেক বৃহস্পতিবার সকালে ওই সামাজিক সংস্থার সহযোগিতায় অভিযুক্ত গৌতম ঘোষকে খয়েরপুরস্থিত তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বোধজংনগর
থানার পুলিশ। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই
সংবাদটি প্রচারিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন
এবং ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রটেকশন ইউনিটের আধিকারিকরা রাজধানীর রাধানগর স্থিত একটি
বেসরকারি হোমে গিয়ে ওই শিশুটির মায়ের সাথে কথাবার্তা বলে এবং শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। শিশুর সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের পক্ষ
থেকে জানা গেছে, শুক্রবার মা ও শিশুকে সরকারিভাবে
হোমে নিয়ে যাওয়া হবে।এদিকে, বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত গৌতম ঘোষ সামাজিক সংস্থার
প্রশ্নের মুখে পড়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত গৌতম
ঘোষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে সর্বত্র। এখন দেখার পুলিশ প্রশাসন অভিযুক্ত পাষন্ড বাবা গৌতম ঘোষের
বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়।
Akb tv news
17.04.2025