আয়নার গহীনে আমি দেখি অনন্তের ছায়া,
নিঃশব্দ নক্ষত্রেরা যেন স্মৃতির উপাখ্যান ।
চোখের গভীরে সঞ্চিত অশ্রুর আদ্র লিপি,
সময়ের অদৃশ্য কলমে আঁকা প্রতিচ্ছবি।
অস্তিত্বের দোলাচলে ভাসমান মায়ার রথ,
চলমান দিগন্তে মিশে যায় জন্ম ও মৃত্যুর শপথ।
দেহের আয়নায় দেখি ক্ষয়িষ্ণু প্রতিস্বর,
আত্মা খোঁজে অমরত্ব, ভেঙে যায় সব ঘর।
চলমান ছায়ারা ফিসফিস করে—“তুমি কে?”
উত্তরে নিঃশ্বাস শুধু, শূন্যতার সাগরে ঢেকে।
অভ্যন্তরের দিগন্তে আলো-অন্ধকারের দ্বন্দ্ব,
জীবনের প্রশ্নপত্রে অমোঘ অজানা প্রবন্ধ।
যা দেখি তা মিথ্যা, যা অদেখা তাই সত্য,
অন্তরের প্রতিচ্ছবি সেখানেই করে গাথা অমৃত।
সর্বনাশের রঙে রঙিন এই দেহখানি,
তবু চিরন্তন আত্মা রাখে অক্ষয় বাণী।
প্রতিচ্ছবির আয়নায় শেষ সত্য প্রকাশিত হয়—
আমি নেই, তুমি নেই, কেবল অনন্ত সময়।
অনিমেষ ঋষি দাস
খোয়াই, ত্রিপুরা
আরশিকথা সাহিত্য
১০ই আগস্ট ২০২৫