Type Here to Get Search Results !

রাজ্যের অপরাধ জগতে অবাঙালী সংস্কৃতির আমদানির আশঙ্কা

আরশিকথা ডেস্কঃ
রাজ্যে গাঁজার চাষ, গাঁজার অবাধ বাণিজ্য কিংবা গাঁজা পাচার নতুন কোন চমকে দেওয়ার মতো বিষয় নয়। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গাঁজা বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে বছরের পর বছর ধরে মুনাফা অর্জন করে আসছে বহুদিন। তরুণ প্রজন্মের কিছু বিপথগামী ছেলেকে অধিক পরিমাণ অর্থ উপার্জনের জন্য তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতো সেই অসাধু ব্যবসায়ীরা। যার কারণে সেইসব বিপথগামীরাই আজ কেউ মাস্তান কিংবা মাফিয়া। রাজ্য পুলিশের ফিতেবন্দি ফাইলগুলিতে সেইসব নামই কালো অথবা নীল কালিতে লেখা রয়েছে। রাজ্যে সরকারের পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ গাঁজা বিরোধী অভিযানে কঠোর হাতে নেমেছে। এই বিষয়টি গাঁজা ব্যবসায় বাদশা থেকে শুরু করে ছোট সম্রাটদেরও আরও বেশী তৎপর করে তুলেছে। আর সেই তৎপরতায় স্থান পেয়েছে অবাঙালী সংস্কৃতি। সম্প্রতি চন্দ্রপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে দেবব্রত দাসগুপ্তের উপর গুলি চালানোর ঘটনার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ একপ্রকারভাবে নিশ্চিত হতে পেরেছে। বিহার সহ বেশ কিছু জায়গায় মদ বাজেয়াপ্ত হওয়ায় বাড়ছে গাঁজার রমরমা। আর এই রমরমা বাণিজ্যে থাবা বসাচ্ছে রাজ্যের অবাঙালী কিছু যুবক। পুলিশ এই চন্দ্রপুর গুলিকান্ডে বৃহস্পতিবার(২১জুন) গভীর রাত পর্যন্ত গোয়ালাবস্তি থেকে নিতিশকুমার, গুড্ডুকুমার ও মনুকুমার নামের তিন যুবককে সন্দেহমুলকভাবে আটক করেছে। তাদের প্রত্যেকের বাড়িই বিহারের বৈশালী জেলায়। ঘটনাক্রমে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তের ডায়েরিতে বহু তথ্য উপস্থাপন করলেও প্রকাশ্যে আসছে মাত্র চুলচেরা বিশ্লেষণ। এধরণের অবাঙালী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে পুলিশ এবারে আটঘাট বেঁধেই নামবে তা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখেনা।

তথ্যঋণঃ দীপক দে, আগরতলা
অতিথি সাংবাদিক, আরশি কথা
ছবিঃ ইন্টারনেটের সৌজন্যে
২২শে জুন ২০১৮ইং          

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.