বিশেষ প্রতিনিধি,আগরতলাঃ
ন্যায় বিচারের দাবিতে ১৭১ দিনের আন্দোলন সফল- একথা এখন বলা যেতেই পারে। দুই সাংবাদিক হত্যা মামলার তদন্তভার গ্রহণ করলো সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই ঘোষণা দেওয়ার পরদিন শনিবার(২৩জুন) প্রোটেকশন অব জার্নালিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানানো হয়। এদিন ফোরামের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন বরিষ্ঠ সাংবাদিক সুবল কুমার দে, প্রণব সরকার, দেবাশিষ মজুমদার, সৌরজিৎ পাল ও বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্য।
আগরতলায় মৌন মিছিল থেকে দিল্লীতে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত ১৭১ দিনের আন্দোলন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তারা। ফেলে আসা এই দিনগুলিতে রোজ রবীন্দ্র ভবনের সামনে নিহত দুই সাংবাদিকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং সিবিআই তদন্তের দাবিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়েছিলো। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আগরতলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মান্দাইয়ে রহস্যজনক ভাবে খুন হয়েছিলো স্থানীয় একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক। একটি রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হতে হয়েছিলো শান্তনুকে। তার ঠিক দুই মাসের মধ্যে আবারও রহস্যজনক ভাবে খুন হতে হয় স্থানীয় একটি দৈনিক কাগজের সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিককে। টিএসআর দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের হেডকোয়ার্টারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো সাংবাদিক সুদীপের। যারা দিনরাত নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত তাদের বিরুদ্ধেই সাংবাদিককে গুলি করে মারার অভিযোগ ওঠে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূলত অভিযোগ ওঠে টিএসআর দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের কমান্ডেন্ট তপন দেববর্মার বিরুদ্ধে। তৎকালীন সময়ে এই ঘটনায় শুধু ত্রিপুরাই নয় সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো। সেই থেকে রাজ্যের সাংবাদিকরা সুদীপ দত্ত ভৌমিক এবং শান্তনু ভৌমিক হত্যা মামলার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসেন। ১৭১ দিন ব্যাপী চলে তাদের আন্দোলন। শেষপর্যন্ত প্রতিশ্রুতি রাখে রাজ্যের নয়া সরকার। নির্বাচনের আগেই বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো ক্ষমতায় এলে দুই সাংবাদিক হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্ত দেওয়া হবে। এখন অপেক্ষা- সিবিআই তদন্তে কি বের হয়ে আসে।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৩শে জুন ২০১৮ইং
ন্যায় বিচারের দাবিতে ১৭১ দিনের আন্দোলন সফল- একথা এখন বলা যেতেই পারে। দুই সাংবাদিক হত্যা মামলার তদন্তভার গ্রহণ করলো সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই ঘোষণা দেওয়ার পরদিন শনিবার(২৩জুন) প্রোটেকশন অব জার্নালিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানানো হয়। এদিন ফোরামের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন বরিষ্ঠ সাংবাদিক সুবল কুমার দে, প্রণব সরকার, দেবাশিষ মজুমদার, সৌরজিৎ পাল ও বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্য।
আগরতলায় মৌন মিছিল থেকে দিল্লীতে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত ১৭১ দিনের আন্দোলন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তারা। ফেলে আসা এই দিনগুলিতে রোজ রবীন্দ্র ভবনের সামনে নিহত দুই সাংবাদিকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং সিবিআই তদন্তের দাবিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়েছিলো। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আগরতলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মান্দাইয়ে রহস্যজনক ভাবে খুন হয়েছিলো স্থানীয় একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক। একটি রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হতে হয়েছিলো শান্তনুকে। তার ঠিক দুই মাসের মধ্যে আবারও রহস্যজনক ভাবে খুন হতে হয় স্থানীয় একটি দৈনিক কাগজের সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিককে। টিএসআর দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের হেডকোয়ার্টারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো সাংবাদিক সুদীপের। যারা দিনরাত নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত তাদের বিরুদ্ধেই সাংবাদিককে গুলি করে মারার অভিযোগ ওঠে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূলত অভিযোগ ওঠে টিএসআর দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়নের কমান্ডেন্ট তপন দেববর্মার বিরুদ্ধে। তৎকালীন সময়ে এই ঘটনায় শুধু ত্রিপুরাই নয় সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো। সেই থেকে রাজ্যের সাংবাদিকরা সুদীপ দত্ত ভৌমিক এবং শান্তনু ভৌমিক হত্যা মামলার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসেন। ১৭১ দিন ব্যাপী চলে তাদের আন্দোলন। শেষপর্যন্ত প্রতিশ্রুতি রাখে রাজ্যের নয়া সরকার। নির্বাচনের আগেই বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো ক্ষমতায় এলে দুই সাংবাদিক হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্ত দেওয়া হবে। এখন অপেক্ষা- সিবিআই তদন্তে কি বের হয়ে আসে।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৩শে জুন ২০১৮ইং