Type Here to Get Search Results !

ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত বাণিজ্যে গুরুত্ব মুখ্যমন্ত্রীর, বাংলাদেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রীকে

তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
 বাংলাদেশে ফেন্সিডিল পাচার বন্ধ করেছি। দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। আর তা সমর্থনও করলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে মূলত সীমান্ত বাণিজ্যের উপরই গুরুত্ব দেন। রবিবার(২সেপ্টেম্বর) আগরতলা প্রেসক্লাবে ত্রিপুরা তথা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সেমিনার হয়। 
আলোচনার বিষয়বস্তু দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্যের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আগে অনেক পণ্যের উপর বিধিনিষেধ ছিলো। 
মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা বলে অনেক পণ্যের উপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করিয়েছেন। ফেনি নদীর উপর হতে চলা ব্রিজ শুধু ত্রিপুরারই নয় উত্তর পূর্বাঞ্চলের লাইফলাইন হবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রিজ তৈরীর কাজ শেষ হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, জলপথে পরিবহন ব্যবস্থা না থাকলে কোনও রাজ্য বা দেশ উন্নত হতে পারেনা। কারণ জলপথে পরিবহন খরচ প্রায় ২৫ শতাংশ কমে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের পণ্য বোঝাই গাড়িগুলি যেন সরাসরি ত্রিপুরার গোডাউনগুলিতে আসতে পারে। তাতে খরচ যেমন কমবে তেমনি সময়েরও অপচয় হবেনা। মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতেও ভোলেননি। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ আমজনতার কাছে আরও বেশী করে পৌঁছে দিতে পারলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। 
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তরফে উপস্থিত ছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল শোভন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংসদ আরএএম ওয়াইদুল মুক্তাদির চৌধুরী, এফবিসিসিআই এর সভাপতি সফিউল ইসলাম সহ অন্যান্যরা। বাংলাদেশ প্রধািমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে বাংলাদেশ যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন কার্যকলাপের প্রশংসা করেন। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে বর্তমান ভারত ও বাংলাদেশ সরকার যত্নবান বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। 
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করতেও ভোলেননি তিনি। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে গোলটেবিল বৈঠক হয়। তাতে চেয়ারম্যান হিসেবে অংশ নেন উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা। কো- চেয়ারম্যান ইকবাল শোভন চৌধুরী। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের তরফে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর অতিউর রহমান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি সফিউল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস এর সাধারণ সম্পাদক এস মেহমুদ, ডেইলি সময়ের আলোর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন। ত্রিপুরার তরফে ছিলেন সাংবাদিক নবেন্দু ভট্টাচার্য, দীপন্ত মজুমদার, সাজ্জাদ আলি, জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইতিহাসবিদ সত্যদেও পোদ্দার। 
এদিকে সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেসক্লাবেই এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল শোভন চৌধুরীকে ভারতবন্ধু সম্মানে ভূষিত করা হয়।

ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২রা সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.