তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
উত্তরায়ণ থেকে দক্ষিণায়নে গমন করলেন সূর্যদেব। এই বিশেষ তিথিকেই মকর সংক্রান্তি বলা হয়। এই অঞ্চলে যা পৌষ পার্বণ হিসেবেই পরিচিত। পৌষ সংক্রান্তিতে পৌষ পার্বণ মানেই পিঠেপুলির উৎসব।
এই বিশেষ দিনটিতে ধর্মপ্রাণ মানুষ ভোরে স্নান সেরে আরাধ্য দেবতা বিশেষ করে সূর্যদেবকে পিঠেপুলি পায়েস নিবেদন করেন। সুদীর্ঘকাল ধরে এই সংস্কৃতি চলে আসছে। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি ) এই মকর সংক্রান্তির দিনে ঘরে ঘরে চলে পিঠেপুলির উৎসব।
এদিন লক্ষ্মীদেবীকেও বারান দেওয়ার রীতি রয়েছে অনেকের মধ্যে। ছেলে-বুড়ো সব বয়েসিরাই এই বিশেষ তিথিতে কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই সকাল সকাল স্নান সেরে নেন। পৌরাণিক মতে মকর সংক্রান্তির দিনেই গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম দেহত্যাগ করেছিলেন। তাই এই দিনটির এক বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।
এদিন নামকীর্তনেও সামিল হন ভক্তপ্রাণ মানুষজন। শহরের প্রাণকেন্দ্রে না হলেও শহরের অনতিদূরে লঙ্কামুড়া, শালমুড়া, কাশীপুর, ক্যাম্পের বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় মানুষ বাড়ি বাড়ি কীর্তন নিয়ে বের হন। প্রতি বাড়িতেই তিলাই, বাতাসা, কদমা, পিঠেপুলি ইত্যাদি লুট দেওয়া হয়। এই পবিত্র দিনটিতে অনেকে দেবালয়েও যান। আগরতলায় বনমালীপুর রামঠাকুর সেবা মন্দিরে চলছে ৪৩তম বার্ষিক উৎসব। সেখানে ব্যাপক সংখ্যক ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়। মধ্যাহ্নে উপস্থিত সমস্ত ভক্তবৃন্দের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে চাকমাঘাট,তীর্থমুখ সহ বিভিন্ন জায়গায় পৌষ সংক্রান্তির উৎসব ও মেলা উপলক্ষ্যে পুণ্যার্থীদের ব্যাপক সমাগম হয়। প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ প্রশাসনের তরফে সবধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৫ই জানুয়ারি ২০১৯ইং
উত্তরায়ণ থেকে দক্ষিণায়নে গমন করলেন সূর্যদেব। এই বিশেষ তিথিকেই মকর সংক্রান্তি বলা হয়। এই অঞ্চলে যা পৌষ পার্বণ হিসেবেই পরিচিত। পৌষ সংক্রান্তিতে পৌষ পার্বণ মানেই পিঠেপুলির উৎসব।
এই বিশেষ দিনটিতে ধর্মপ্রাণ মানুষ ভোরে স্নান সেরে আরাধ্য দেবতা বিশেষ করে সূর্যদেবকে পিঠেপুলি পায়েস নিবেদন করেন। সুদীর্ঘকাল ধরে এই সংস্কৃতি চলে আসছে। মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি ) এই মকর সংক্রান্তির দিনে ঘরে ঘরে চলে পিঠেপুলির উৎসব।
এদিন লক্ষ্মীদেবীকেও বারান দেওয়ার রীতি রয়েছে অনেকের মধ্যে। ছেলে-বুড়ো সব বয়েসিরাই এই বিশেষ তিথিতে কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই সকাল সকাল স্নান সেরে নেন। পৌরাণিক মতে মকর সংক্রান্তির দিনেই গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম দেহত্যাগ করেছিলেন। তাই এই দিনটির এক বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।
এদিন নামকীর্তনেও সামিল হন ভক্তপ্রাণ মানুষজন। শহরের প্রাণকেন্দ্রে না হলেও শহরের অনতিদূরে লঙ্কামুড়া, শালমুড়া, কাশীপুর, ক্যাম্পের বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় মানুষ বাড়ি বাড়ি কীর্তন নিয়ে বের হন। প্রতি বাড়িতেই তিলাই, বাতাসা, কদমা, পিঠেপুলি ইত্যাদি লুট দেওয়া হয়। এই পবিত্র দিনটিতে অনেকে দেবালয়েও যান। আগরতলায় বনমালীপুর রামঠাকুর সেবা মন্দিরে চলছে ৪৩তম বার্ষিক উৎসব। সেখানে ব্যাপক সংখ্যক ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়। মধ্যাহ্নে উপস্থিত সমস্ত ভক্তবৃন্দের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে চাকমাঘাট,তীর্থমুখ সহ বিভিন্ন জায়গায় পৌষ সংক্রান্তির উৎসব ও মেলা উপলক্ষ্যে পুণ্যার্থীদের ব্যাপক সমাগম হয়। প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ প্রশাসনের তরফে সবধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৫ই জানুয়ারি ২০১৯ইং