আরশি কথা

আরশি কথা

No results found
    Breaking News

    সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযানে নেমে প্রয়োজনে অন্যের বাড়িতে থাকা খাওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

    আরশি কথা
    নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলাঃ
    জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ভারত কেশরী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি'র ১১৯তম জন্মজয়ন্তীতে সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলো বিজেপি। উত্তর প্রদেশের কাশীতে শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে এই কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যে এই কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় নজরুল কলাক্ষেত্রে। 
    এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের রাজ্যমন্ত্রী রামেশ্বর তেলী, বিজেপি'র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি জয় পান্ডা, সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক ও রেবতী ত্রিপুরা, রাজ্য বিজেপি'র সাধারণ সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্য, রাজ্যে সভ্যপদ সংগ্রহ অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ মানিক সাহা সহ অন্যান্যরা। 
    ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি'র প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এবারের সদস্যতা অভিযানে স্লোগান উঠে- "সাথে আসুন দেশ গড়ুন"। মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সারা দেশে অনলাইন এবং অফলাইনের মাধ্যমে সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। রাজ্যে ২৫ বছর বামেরা ক্ষমতায় থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যে বিরোধী নেতৃত্বে যারা ছিলেন তারা কমিউনিস্টদের রাস্তাতেই হাঁটছিলেন। নতুন কিছুই করা হয়নি। অথচ মানুষ পরিবর্তন চাইছিলেন। এই রাজ্যে ২০১২-১৩ সালে দলের দশ থেকে বারো হাজার সদস্য ছিলেন। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ যে দিশা দেখিয়েছেন সেই পথে চলেই এই সাফল্য আসে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন অমিত শাহ ও রাম মাধব এর নাম উচ্চারণ করেন। বিশেষ করে অমিত শাহ এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি। সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ত্রিপুরা থেকে ৫ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। রোজ সকালে কার্যকর্তাদের সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযানে বের হওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্থায়ী রাজনৈতিক দল স্থায়ী সংগঠন বলতে যদি কিছু থাকে তা হলো পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ দল বিজেপি। কার্যকর্তাদের প্রতি আবেদন জানান, অহংকার না করার। আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান চালাতে বলেন। ক্ষুধা তৃষ্ণা পেলে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ যেখানেই ক্ষুধা তৃষ্ণা পাবে সেখানেই যে কোনও এক বাড়িতে খাবার চাইবেন। কমিউনিস্টদের বাড়ি হলেও আপত্তি নেই। দেখবেন ঐ পরিবারটি তখন বিজেপি'র সংস্পর্শে চলে আসবে। কারণ ভারতীয় সংস্কৃতিতে আছে - অতিথি দেব ভব। প্রয়োজনে রাত্রি যাপন করলেও অসুবিধে নেই। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, সরকার তো গড়া হয়ে গিয়েছে। সব কাজ মন্ত্রী বিধায়করা করে নেবেন। এমন আত্মতুষ্টি যেন না আসে। বরং সরকার গড়ার পর এখন দায়িত্ব কর্তব্য আরও বেড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ ঘিরে এদিন দলীয় কার্যকর্তাদের মধ্যে বেশ উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। জেলা ও মন্ডল স্তর থেকে কার্যকর্তারা এদিনের এই কর্মসূচীতে অংশ নেন। 

    ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ 

    ৬ই জুলাই ২০১৯ 
    3/related/default