Type Here to Get Search Results !

সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা ঃ ত্রিপুরা আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু

আবু আলী, ঢাকা ॥
ত্রিপুরা আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ আমাদের আগলে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। সেই ত্রিপুরায় সামান্য খাবার পানি দেয়ার জন্য আপত্তি থাকতে পারে না। ‘ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশের কোনো স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করতে পারে না। গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। কিন্তু বিএনপি গ্যাস বিক্রির চুক্তি করার পরই ক্ষমতায় আসে ওই সময়। ভারত সফর উপলক্ষে ৯ অক্টোবর বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন,  ফেনী নদীর উৎপত্তি বাংলাদেশের খাগড়াছড়িতে হলেও এ নদীর বেশিরভাগ ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক নদী। আমরা সামান্য ১ দশমিক ১২ কিউসিক পানি দিচ্ছি ভারতকে। এ নিয়ে হইচই করার কী আছে?’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা বলেন, ‘ভারতে গ্যাস রফতানির বিষয়ের প্রসঙ্গ তুলে যে সমালোচনা করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। বিদেশ থেকে আমদানি করা তরল গ্যাস বোতলজাত করে ত্রিপুরায় রফতানি করার পরিকল্পনা হয়েছে। এটি তো দেশের স্বার্থেই করা। ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগ উন্মুক্ত করা হয়েছে। তারা বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করে বোতলজাত করছে।
অন্যদিকে আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি থেকে কিছু তেল উৎপাদন হয়, যা থেকে অকটেন, পেট্রল এবং তরল গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে। এই তরল গ্যাসই রফতানি করার পরিকল্পনা হচ্ছে। এখানে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে নয়।’
ভারতের সঙ্গে ফেনী নদীর পানিবণ্টনের চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় যে পানি দেয়া হচ্ছে, তা হচ্ছে খাবার পানি। কেউ খাবার পানি চাইলে, তা যদি না দিই, তাহলে কেমন হয়!’
ত্রিপুরা আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ আমাদের আগলে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। সেই ত্রিপুরায় সামান্য খাবার পানি দেয়ার জন্য আপত্তি থাকতে পারে না। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশের কোনো স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করতে পারে না। গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। কিন্তু বিএনপি গ্যাস বিক্রির চুক্তি করার পরই ক্ষমতায় আসে ওই সময়।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিস্তার পানিবণ্টনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান হাসিনা। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে পানি সমস্যার সমাধান করা হবে।
প্রসঙ্গদ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে’ অংশ নিতে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর নয়াদিল্লি সফর করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং তিনটি যৌথ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

৯ই অক্টোবর ২০১৯

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.