Type Here to Get Search Results !

‘আম্পান’: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১০ হাজার ভলান্টিয়ার

আবু আলী, ঢাকা ।। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ধীরগতিতে এগোলেও বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ম পদাতিক ডিভিশন আগাম ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সোমবার উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পগুলোতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দুর্যোগ মোকাবেলায় দিনব্যাপী ভলান্টিয়ারদের যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি সেনাক্যাম্পগুলোর তত্ত্বাবধানে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা ভলান্টিয়ারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পে সেনাসদস্যদের নেতৃত্বে মাঝি, সাবমাঝি ও স্বেচ্ছাসেবকদের আপদকালীন দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে উদ্ধার যানসমূহ ও প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী। এছাড়া জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি এনজিও এবং আইএনজিও সংস্থা সমূহের সাথে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রাক্কালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠ পর্যায়ে আপদকালীন সময়ের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আর্মি ক্যাম্পসমূহে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, বিনিময় করা হয়েছে নিজেদের প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা। ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ থেকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো ও উদ্ধার কার্যক্রমে দেশি, বিদেশি সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, আরআরসি, এনজিও, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য ও ক্যাম্পে বসবাসরত প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করে। রামু সেনানিবাসের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় যে, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আপদকালীন সময়ের জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার যেমন মুড়ি, চিড়া, গুড় ইত্যাদি প্যাকেটজাত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনকে সহযোগিতার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রসমূহ। সেনানিবাস কর্তৃক জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থার সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিয়মিত সংবাদ সংগ্রহ ও বিভিন্ন তথ্যের জন্য রামু সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের গত ২৫ আগস্ট থেকে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পাহাড়ের ওপরে, ঢালে ও সমতলে অস্থায়ীভাবে তৈরি ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস বা পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

১৮ই মে ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.