একটা সভ্যতার বিকাশ ঘটে তার সংস্কৃতি ও ব্যক্তি বিশেষ মানুষদের শিক্ষা সচেতনতার ওপর।যারা সমাজ রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান উপদেষ্টা।তারা যেমন সমাজে অস্থিরতাজনিত কোনরুপ অন্যায় দেখলে কন্ঠে,লেখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায় ঠিক তেমনি একটি রাষ্ট্রের জরুরীকালীন ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াটাও কাম্য ।এটাই তথাকথিত নাগরিক সমাজের প্রধান ও প্রাথমিক কর্তব্য বলে মনে করি।বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বে প্রতিদিন বেড়ে চলেছে মৃত্যুর মিছিল।দুই শতাধিক রাষ্ট্রে সাধারণ মানুষের জীবনে আক্রান্তের সংখ্যাটা কোটিতে।সেই করোনা থাবাতে আমাদের দেশে মৃত্যু সংখ্যা কয়েক হাজার, আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লক্ষ।বিশ্বের পরিসংখ্যানে তৃতীয়।আমেরিকা, ব্রাজিল এর পরেই আমাদের দেশের স্থান। আমাদের দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সব খবর মূর্হূতে পৌঁছে দিচ্ছে আবালবৃদ্ধবনিতার কাছে।ডাক্তার,নার্স,স্বাস্থ্য কর্মীরা জীবনকে বাজি রেখে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের সেবাতে নিজেদের নিয়োজিত রাখছেন।স্বাধীনতার সময়ে আমাদের দেশে বিভিন্ন মনীষী,লেখক,নাট্যকার,বহু গুনিজন মানুষরা ছিলেন।তারা ছোট ছোট গোষ্ঠী তৈরী করে বিভিন্নরকম কর্মসূচী গ্রহন করতেন ।স্বাধীনতার সময়ে যারা দেশের কাজ করে স্বাধীনতা এনেছিলেন তাদের আমরা দেশপ্রমিক কিংবা স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে সম্মান করি।কিন্তু বর্তমানের এই দুঃসময়ে সকল নাগরিকদের সমাজের কাজে এগিয়ে আসা উচিত।সমাজ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য,তাদের এগিয়ে আসতে হবে।হাল ধরতে হবে বিপন্ন এই সময়ে। কারন তাদের আন্তরিকতা,তাদের উন্নত মানসিকতা,তাদের সহনশীলতা এখন ভীষন ভাবে জরুরী।দেশের প্রতিটি মানুষের মনে ও জীবনে তাদের কর্মগুণের কথা উৎসাহের জন্ম দিক।কিছু অমানুষরূপী মানুষ আছে যারা সবসময়ই অস্থির সমাজের রূপকার।যাদের কারণে কখনও কোথাও সাধারণ মানুষ নিজের সামাজিক অবস্থান থেকে পিছিয়ে,ভয়ে ভীত।ঠিক এই কারনেই সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী।মিলেমিশে একজোট হয়ে প্রতিবাদে সামিল হওয়া ভীষনভাবে জরুরী।শুধুমাত্র দান নয়, নীরবে নিশব্দে অন্তরালে কাজ করা সাধারণ মানুষগুলি হয়তো একটু মানসিক সঙ্গও চায় আপনাদের থেকে.........।
দেবাশিষ মজুমদার
উত্তর ২৪ পরগণা
আরশিকথা
১৫ই জুলাই ২০২০
দেবাশিষ মজুমদার
উত্তর ২৪ পরগণা
আরশিকথা
১৫ই জুলাই ২০২০