Type Here to Get Search Results !

কামিনী কাঞ্চন কে দূরে সরিয়ে রাখা তিন যুগপুরুষের কথাঃ পুলক ঘোষ চৌধুরী , বারাসাত

কামিনী কাঞ্চন কে দূরে সরিয়ে রেখে তিন জন যুগ পুরুষের পদার্পন ঘটেছে এই ভারত বর্ষে । প্রথম জন রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব , দ্বিতীয় জন অশ্বিনী কুমার দত্ত , তৃতীয় জন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী । বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, কিন্তু কামনাকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন । দৃষ্টি কোন ছিল সামাজিক শ্রী বৃদ্ধি অর্থাৎ সামাজিক উন্নতি ।কেউ আধ্যাত্মিক ভাবে মাধ্যমে সামাজিক চেতনার উন্মেষ ঘটানো । শ্রী অশ্বিনী কুমার দত্ত স্বাধীনতার পূর্ব যুগে নতুন সামাজিক দ্বীপ্তির বীজ বপন করে ছিলেন । স্বাধীনতার উত্তর কালে নতুন ভারত গঠনে সামাজিক চেতনার প্রয়োগের উপলব্ধি করেছেন শ্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী ।এই তিন যূগ পুরুষের কার্যক্রম ভিন্ন ভিন্ন । বিবাহ করেও কামনা বাসনার চরম সুবাস গ্রহণ করেন নি ।শত হস্ত দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন । কর্মকাণ্ড ভিন্ন হলেও ব্যাপ্তি ছিল দীর্ঘ স্থায়ী । রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব সারদা মা'কে মাতৃ জ্ঞানে পূজা করেছিলেন । সারদা মা'কে বলতেন ' তুমি শত কোটি সন্তানের জননী । মহাত্মা গান্ধী শ্রী অশ্বিনী কুমার দত্তকে বলেছিলেন ' তুমিই প্রকৃত মহাত্মা , মহাত্মা আমি নই । বরিশাল জেলার জমিদার পুত্র শ্রী অশ্বিনী কুমার দত্ত ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী ।মা'য়ের ইচ্ছায় সরলা বালার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও কোনো দিন পত্নী রূপে গ্রহণ করেন নি , ভগিনী রূপে গ্রহণ করেছিলেন । তিনি সরলাবালা কে বলেছিলেন সমাজ জীবনে পবিত্রতার প্রতীক হও , জ্যোতির্ময় হও । পরবর্তী সময়ে সরলাবালা একনিষ্ঠ স্বাধীনতা সংগ্রামী হয়েছিলেন । গান্ধীজী আজীবন অশ্বিনী কুমার দত্তকে 'মহাত্মা জ্ঞানে জেনেছিলেন । শ্রী মান মোদিজী মা'য়ের ইচ্ছায় যশোদাবেন কে বিবাহ করলেও বিবাহের রাতে স্ত্রী যশোদাবেনকে বিদ্যা লাভ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পরামর্শ দিয়ে গৃহত্যাগী হন । ব্রহ্মচারী হয়ে জীবন যাপন করে আসছেন ।এই তিনজনই বিবাহিত , কিন্তু কেহ স্ত্রী কে কামনার আগুনে দগ্ধ করেনি । কামিনী কাঞ্চন কে মানসিক ভাবে দূরে সরিয়ে রাখা সহজ নয় ।এই তিন যুগ পুরুষ করতে পেরেছেন সমাজ গঠনের স্বার্থে ।


পুলক ঘোষ চৌধুরী , বারাসাত

৬ই সেপ্টেম্বর ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.