তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
চন্দ্রপুরে গুলিকাণ্ডের রেষ কাটতে না কাটতেই আবারো দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ গেলো এক যুবকের। এবারের ঘটনা এডি নগর থানাধীন মিলনচক্র এলাকার আদর্শপল্লীতে। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ পাল।
এলাকায় সে বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিছিত। পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বিশ্বজিৎ এর গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ পাওয়া যায় তার বাড়ি থেকে প্রায় দু'শো মিটার দূরত্বের মধ্যে। শনিবার(২৩জুন) রাতের এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ প্রাণজিৎ ভৌমিক নামে এক যুবককে আটক করেছে। তার বাড়ির সামনেই বিশ্বজিৎ এর নিথর দেহ পড়ে রয়েছিলো। এডি নগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালিয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শনিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন বিশ্বজিৎ পাল। তার বাড়ি গিয়ে পৌঁছানোর আগেই পরিবারের লোকদের কাছে ফোন করে প্রাণজিৎ। সে জানায় তার বাড়ির সামনে বিশ্বজিৎ এর দেহ পড়ে রয়েছে। ছুটে আসেন বিশ্বজিৎ এর পরিবারের লোকেরা। দেখা যায় মৃতদেহের পাশেই পড়ে রয়েছে গুলির একটি খোল। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আশেপাশের লোকজন বাজি কিংবা ঢিল পড়ার মতো আওয়াজ পেলেও যিনি ফোন করে বাড়িতে খবর দেন সেই প্রাণজিৎ নাকি কোনও রকম আওয়াজ শুনতে পাননি। অথচ তার বাড়ির সামনেই বিশ্বজিৎ এর মৃতদেহ পড়ে রয়েছিলো। এডি নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ স্নিফার ডগ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগমূলে আটক করা হয় প্রাণজিৎ ভৌমিককে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাস্থলের অদূরে জঙ্গল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজিৎ বিজেপি'র আগরতলা পুর নিগম ভিত্তিক ৪৬নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি ছিলেন। এলাকার সবার সঙ্গে তার সুপরিচিতি রয়েছে বলেও জানা যায়। এডি নগর থানার সেকেন্ড অফিসার অরিন্দম রায় জানান, মৃত ব্যক্তির বুকের বা দিকে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর্থিক ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হলেও তিনি এখনই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। ডিআইজি, পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। এদিকে পর পর এধরণের ঘটনায় আতংক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতির উন্নত হয়েছে বলে সরকারি ভাবে বলা হলেও একের পর এক খুন কিংবা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অন্য কথাই বলছে। প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে রাজধানীর পূর্ব আগরতলা থানাধীন শিবনগরে এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিলো।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৪শে জুন ২০১৮ইং
চন্দ্রপুরে গুলিকাণ্ডের রেষ কাটতে না কাটতেই আবারো দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ গেলো এক যুবকের। এবারের ঘটনা এডি নগর থানাধীন মিলনচক্র এলাকার আদর্শপল্লীতে। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ পাল।
এলাকায় সে বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিছিত। পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বিশ্বজিৎ এর গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ পাওয়া যায় তার বাড়ি থেকে প্রায় দু'শো মিটার দূরত্বের মধ্যে। শনিবার(২৩জুন) রাতের এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ প্রাণজিৎ ভৌমিক নামে এক যুবককে আটক করেছে। তার বাড়ির সামনেই বিশ্বজিৎ এর নিথর দেহ পড়ে রয়েছিলো। এডি নগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালিয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শনিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন বিশ্বজিৎ পাল। তার বাড়ি গিয়ে পৌঁছানোর আগেই পরিবারের লোকদের কাছে ফোন করে প্রাণজিৎ। সে জানায় তার বাড়ির সামনে বিশ্বজিৎ এর দেহ পড়ে রয়েছে। ছুটে আসেন বিশ্বজিৎ এর পরিবারের লোকেরা। দেখা যায় মৃতদেহের পাশেই পড়ে রয়েছে গুলির একটি খোল। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আশেপাশের লোকজন বাজি কিংবা ঢিল পড়ার মতো আওয়াজ পেলেও যিনি ফোন করে বাড়িতে খবর দেন সেই প্রাণজিৎ নাকি কোনও রকম আওয়াজ শুনতে পাননি। অথচ তার বাড়ির সামনেই বিশ্বজিৎ এর মৃতদেহ পড়ে রয়েছিলো। এডি নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ স্নিফার ডগ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগমূলে আটক করা হয় প্রাণজিৎ ভৌমিককে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাস্থলের অদূরে জঙ্গল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজিৎ বিজেপি'র আগরতলা পুর নিগম ভিত্তিক ৪৬নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি ছিলেন। এলাকার সবার সঙ্গে তার সুপরিচিতি রয়েছে বলেও জানা যায়। এডি নগর থানার সেকেন্ড অফিসার অরিন্দম রায় জানান, মৃত ব্যক্তির বুকের বা দিকে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর্থিক ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হলেও তিনি এখনই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। ডিআইজি, পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। এদিকে পর পর এধরণের ঘটনায় আতংক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা জনিত পরিস্থিতির উন্নত হয়েছে বলে সরকারি ভাবে বলা হলেও একের পর এক খুন কিংবা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অন্য কথাই বলছে। প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে রাজধানীর পূর্ব আগরতলা থানাধীন শিবনগরে এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিলো।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৪শে জুন ২০১৮ইং