আরশি কথা

আরশি কথা

No results found
    Breaking News

    কি ছিলো ট্রাম্প-কিমের খাদ্য তালিকায়

    আরশি কথা
    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নানা জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে আলোচনার টেবিলে বসলেন ট্রাম্প ও কিম। তাদের এই বৈঠক বিশ্ব ইতিহাসেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এ বৈঠকের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সব আয়োজন নিয়ে চলছে আলোচনা। বৈঠকের প্রতিটি বিষয়কেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আলাদা করে। ইতোমধ্যেই নিজের টয়লেট সঙ্গে বহন করে ঝড় তুলেছেন কিম। এবার তাদের দুপুরের খাবারের আয়োজনে কী থাকছে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা, রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ। এবারই প্রথমবারের মতো করমর্দনও করেছেন তারা। আর আজই প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দুপুরের খাবার খেলেন দুজন। কী ছিল তাদের খাবারের তালিকায়? স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় দুজন দুপুরের খাবার খান। খাবারের তালিকায় নানা রকম পশ্চিমা ও কোরিয়ান খাবার ছিল। বিবিসির খবর অনুযায়ী, আগের বার যখন কিম দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করেছিলেন তখন মেনুতে ছিল ঠান্ডা নুডলস। তবে, সিঙ্গাপুরে কিমের যেন বাসার মতোই হালকা বোধ করেন। এজন্য খাবারের তালিকাটি সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য উপায়ে। সেই সঙ্গে ট্রাম্পও যেন ৮০’র দশকের নিউইয়র্কের কোনো রেস্টুরেন্টের স্বাদ পান সে বিষয়টিও মাথায় রেখেছে সিঙ্গাপুরের হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে, এই বৈঠক উপলক্ষে ১৫ মিলিয়ন খরচ করা সিঙ্গাপুরের মানুষেরা তাদের নিজেদের ঐতিহ্যবাহী খাবারও পরিবেশন করেছেন টেবিলে। চাইনিজ, মালয় আর ভারতীয় এই জনগোষ্ঠীই সিঙ্গাপুরে প্রধান জনগণ। তাই খাবারের টেবিলে উপস্থিত থাকবে এসব খাবারও। মূল খাবার শুরুর আগেই স্টার্টার হিসেবে তাদের পরিবেশন করা হবে অ্যাভোকাডোর সালাদের সঙ্গে চিংড়ির ককটেল বা প্রন ককটেল, সবুজ আমের কেরাবু বা ‘ওসিওন’, কোরিয়ান শসার মিশ্রণ। এরপর থাকবে ইয়াংজৌ ফ্রাইড রাইস বা দেগু জরিমের সঙ্গে গরুর পাঁজরের মাংস, টক-মিষ্টি পর্ক বা কোরিয়ান সয়া দিয়ে ভাপে সেদ্ধ কড মাছ। শেষে থাকবে ডার্ক চকলেট টার্টেল গ্যানশে, ভ্যানিলা আইসক্রিম বা ট্রপেনজিন ও পেস্ট্রি ডেজার্ট। টক-মিষ্টি পর্ককে সিঙ্গাপুরীয়রা তাদের নিজস্ব খাবার মনে করলেও এটি ১৯৮০ সালের হংকং এর খাবার। এছাড়াও ইয়াংজৌ ফ্রাইড রাইস আরো প্রায়োগিক ভাবে চায়নার সঙ্গে জড়িত। এটিই যুক্তরাষ্ট্রে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা হয়। খাবার টেবিলে এই দুইটি ডিশের উপস্থিতিকে অনেকেই ইশারাসূচক একটি বিষয় মনে করছেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও চায়নাকে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে সমঝোতা করতেই হচ্ছে, সে ঘটনারই প্রতিফলন ঘটেছে খাবার টেবিলের রাজনীতিতে।

    বাংলাদেশ ব্যুরো
    ১২ই জুন ২০১৮ইং
    3/related/default