ঢাকা ব্যুরো অফিস:
বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে ২য় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
এতে রাষ্ট্রপতি মুহম্মদ আব্দুল হামিদসহ অংশ নেন জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। পরে কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় তার মরদেহ। কাল তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রংপুরে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি, বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ঠিক ৫ মাস ৫ দিন আগে হুইল চেয়ারে করে প্রিয় সংসদ ভবনে এসেছিলেন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে। সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টায় তিনি আবারো আসলেন প্রিয় প্রাঙ্গণে।
তবে, প্রাণহীন, নিথর ও কফিনে মোড়ানো লাশবাহী গাড়িতে করে। প্রিয় নেতাকে শেষ বারের মতো দেখতে তাই সংসদ ভবন এলাকায় ভিড় করেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে ২য় নামাজে জানাজা হয় সংসদ ভবনের টানেলে। এতে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ। অংশ নেন দলীয় নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সাধারণ মানুষ।
জানাজা শেষে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের পক্ষেও জানানো হয় শ্রদ্ধা।
এরপর শোকাবহ পরিবেশে স্মৃতি চারণ করেন এরশাদের পরিবারের সদস্য এবং দলীয় নেতারা।
এরশাদের স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, জনগণের জন্য ভালো একটি জীবন দিতে চেষ্টা করেছেন। কতটুকু করতে পেরেছে তা এখন জনগণই বিচার করবেন।
জানাজায় অংশ নেয়া রাজনৈতিক নেতারা ব্যক্তি এরশাদকে অমায়িক ব্যবহারের একজন মানুষ হিসেবে অভিহিত করে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের মূল্যায়ন জনগণের করবে বলে মন্তব্য করেছেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, এরশাদ ব্যক্তিগত জীবনে ওমাইয়িক ব্যবহারের একজন মানুষ ছিলেন।
পরে, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় দলীয় নেতা-কর্মীসহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখানে প্রিয় নেতাকে শেষ বারের মতো দেখতে ভিড় জমান জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য তিনি একজন নিবেদিত মানুষ ছিলেন।
কাকরাইল থেকে এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। সেখানে বাদ আসর তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারে করে এরশাদের মরদেহ তার পৈতৃক নিবাস রংপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ৪র্থ ও সবশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে মঙ্গলবার তার দাফনের কথা থাকলেও কোথায় করা হবে সে বিষয়ে দল বা পরিবার থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো জানা যায়নি।
৯০ বছর বয়সী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১০ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার রোববার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে জীবনের মায়া ছেড়ে চলে যান।
১৫ই জুলাই ২০১৯
১৫ই জুলাই ২০১৯