প্রভাষ চৌধুরী, ঢাকা ব্যুরো অফিস:
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় বিয়ের গাড়িবহরের একটি মাইক্রোবাসে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় বর ও কনেসহ কমপক্ষে ১০জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ট্রেনের সামনে থেকে ছিটকে পড়ে ৫-৬ জন ও মাইক্রোবাসের ৪ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ জুলাই)সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি হারুন মজুমদার জানান, আহতদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে বর ও কনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বর আযম হোসেন (২৫) সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে এবং কনে সুমাইয়া খাতুনের (২০) বাড়ি উল্লাপাড়ার চরঘাটিনায়। নিহতদের মধ্যে একজন বরের বোন জামাই সুমন শেখ, বরযাত্রী একই গ্রামের টুটুল শেখ, খোকন মিয়া, শরিফুল ইসলাম শরিফ, ভাষান আলী, আব্দুস সামাদ ও বায়োজিদ হোসেন।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর শুনে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ছেলে সুমনের লাশ দেখে স্ট্রোক করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বাবা মুছা শেখ।
স্থানীয়রা জানান, বরযাত্রীসহ মাইক্রোবাসটি উল্লাপাড়ার ঘাটিনা থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের কান্দাপাড়ায় যাচ্ছিল। সলপ স্টেশনের উত্তরে পঞ্চক্রোশী আলী আহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে উন্মুক্ত লেভেল ক্রসিং পারাপারের সময় মাইক্রোবাসটির সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা লাগে।
এতে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি হারুন মজুমদার।
অরক্ষিত রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং-এর কারণেই এ দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন উল্লাপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, উন্মুক্ত লেভেল ক্রসিং পারাপার হওয়ার সময় বিয়ের গাড়িবহরের একটি মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই বেশ কয়েকজন মারা যান। রেলওয়ে লেভেল ক্রসিং-এ কোনও ব্যারিয়ার বা বার্জ ছিল না। এমনকি সেখানে রেল বিভাগের কোনও পাহারাও ছিল না। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের পাকশীর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মিজানুর রহমান জানান, এটা রেল বিভাগের নির্ধারিত কোনও লেভেল ক্রসিং নয়। স্থানীয় লোকজন নিজেদের স্বার্থে চলাচলের জন্য সেখানে উন্মুক্ত রেখেছে। দুর্ঘটনার পর দেড়ঘণ্টা দেরিতে ট্রেনটি ছেড়ে ঢাকার দিকে গেছে। এছাড়াও দুর্ঘটনার জন্য মাইক্রোবাস চালকের অস্থিরতাকে দায়ী করে তিনি বলেছেন, ‘ট্রেন দেখার পরও তাড়াহুড়া করে রেল লাইন পার হওয়ার চেষ্টার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।’
১৫ই জুলাই ২০১৯
১৫ই জুলাই ২০১৯