Type Here to Get Search Results !

জলমগ্ন আগরতলা শহর ও আশপাশ এলাকা, পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি প্রশাসনের

তন্ময় বনিক,আগরতলাঃ
আবারও জলমগ্ন হলো আগরতলার রাজপথ। জল জমলো বেশ কিছু নতুন নতুন এলাকায়। জল নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন তো দূরের কথা উল্টো নতুন নতুন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও আশঙ্কা বেড়ে চলেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে উমাকান্ত একাডেমির সামনে আখাউড়া রোড। জল জমে যায় মন্ত্রীদের সরকারি আবাসের সামনের রাস্তায়।
আরও আশ্চর্যের হলো পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ও সদর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে জল ঢুকে পড়ে। কর্মীরা অফিসে গেলেও কাজ করার মতো সুযোগ ছিলোনা। রাজপথের কোথাও হাঁটু কোথাও কোমর সমান জল। 
প্রতিটি রাস্তায় দেখা যায় যানজট। এই অবস্থায় ট্রাফিক কর্মীদেরও দেখা যায়নি। রাজধানীর শকুন্তলা রোড, ওরিয়েন্ট চৌমুহনী, আরএমএস চৌমুহনী, গণরাজ চৌমুহনী, সৎসঙ্গ আশ্রমের সামনের রাস্তায়, আইজিএম হাসপাতালের সামনে, মেলারমাঠ, টাউন প্রতাপগড়, বনমালীপুর, শিবনগর, ব্যানার্জি পাড়া, রামনগর, কৃষ্ণনগর নতুন পল্লী, জয়নগর সহ গোটা আগরতলা এদিন সকালের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। 

পথচারী সহ নিত্যযাত্রীদের এমনকি যানবাহনের চালকদেরও নাকাল হতে হয়েছে। দুর্বল নিকাশি ব্যবস্থার খেসারত দিতে হচ্ছে শহরবাসীকে। ঘণ্টা দু'এক এর বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে আগরতলা শহর। এদিকে হাওড়ার তীরবর্তী এলাকাগুলিতে বন্যাকবলিত মানুষ। দুর্গতদের উদ্ধারে রবিবার থেকেই নামানো হয় এনডিআরএফ ও টিএসআর এর জওয়ানদের। সোমবারও চলে উদ্ধার অভিযান। পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক সন্দীপ মাহাত্মে জানান, রবিবার থেকে ন'টি বোটে উদ্ধার অভিযান চলছে। জেলায় ৩০টি ক্যাম্প খোলা হয়েছে বন্যা দুর্গতদের জন্য। সেগুলিতে সাত হাজারেরও বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসন এবং বিভিন্ন এলাকার সংগঠন ক্লাবগুলোর তরফ থেকে পরিদর্শন  চলছে। 




তাদের জন্য থাকা,খাওয়া,পানীয় জল ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এনডিআরএফ, টিএসআর ও পুলিশের নিয়োজিত কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলাশাসক আরও জানান, হাওড়ায় বিপদসীমা হচ্ছে ১০.৫ । রবিবারের বৃষ্টিতেই তা চলে যায় ১০.৭ । ঐদিন দুপুরের পর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তা কমে ১০.৩ হয়। সোমবার সকালের বৃষ্টিতে বিশেষ করে বরমুড়ার জল নামার পর হাওড়ায় জলস্তর ফের বেড়ে যায়। এই অবস্থায় প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সবধরনের ব্যবস্থা মজুদ রাখার জন্য। গত ১৩ জুলাই থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানান জেলাশাসক। গত ১৩ জুলাই বৃষ্টিপাত হয় ৯৫ মিলিমিটার। ১৪ জুলাই বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৬৫ মিলিমিটার। আর সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৫১ মিলিমিটার। তার আগে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজ্যের অধিকাংশ নদীতেই জলস্তর বিপদসীমা স্পর্শ করেছে। প্রতিটি জেলায় বাড়ছে বন্যা দুর্গতদের সংখ্যা। পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছে প্রশাসন। 

ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ

১৫ই জুলাই ২০১৯ 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.