“গর্ভধারিণী”
তারপর থেকে ফেলে এসেছি ৪৮০টি সৌরদিন
হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে গেছে অসংখ্য নক্ষত্র,
চন্দ্রিমা-অমাবস্যাও পার করেছি অসংখ্য,
ধুমকেতু, নীহারিকা ছুঁয়ে দেখেছি এক পন
বারান্দায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে অতিক্রম করেছি প্রতিটি আহ্নিকগতি
তবু দেয়া হয়নি তোমার কপালের শেষ চুম্বন।
এখনও সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে মাথা ঝিম ধরে
জোনাকিরা বারবার আটকে যায় মাকড়সার জালে,
লাফিয়ে পরে একেএকে কুয়োর সব উভচর
তবু শুনতে পাইনা একটিবারও তোমার দরদী স্বর।
আজও তীব্র গন্ধ পাই, প্রতি সন্ধ্যায় ক্ষারকচুর খয়েরী ফুলের
কলার মোচার ভিতর চামচিকা লুকায়,
প্রতিধ্বনি শুনে উড়ে যায় বাদুড় একঝাক
তবু পায়নি তোমার একটিবারও-শুধু তাকিয়ে হই হতবাক।
দেড়বছর আগে, শেষ যে রাতে তোমার কোলে শুয়েছিলাম
মাঝরাতে ছুঁয়ে দেখেছি তোমার চোখ-নাক-দুঠোঁট,
হাজার বছরের ক্লান্ত নিথর দেহ,
আমি ছুঁয়ে দেখেছি- তখনও জাগেনি কেহ।
মেহেদী লাগানো তোমার সোনালী চুল, কালো হাত, রুপোর চুড়ি
কমলা রঙয়ের কম্বল- আমি ছুঁয়ে দেখেছি বারবার,
তবু দিতে পারিনি চুম্বন, মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় যদি আবার।
শুনেছি, তুমি যাবার আগে ছোট বোনকে বলেছ একবার
আমি নাকি ভালোবেসে রোজ চুম্বন দিতেম বারেবার।
বিশ্বাস করঃ তারপর থেকে আমি কাটিয়েছি অনেকদিন
দেখেছি অনেক স্বপ্ন, আবার ভেঙ্গেছি অনেক বীণ,
চুম্বন দিয়েছি, কত জড়িয়ে ধরেছি, তবু পরিশোধ হয়নি ঋণ।
যেদিন থেকে ফেলে এসেছি ৪৮০টি সৌরদিন।
আজও হেঁটেচলি আমি ছায়াপথ ধরে, গ্যালাক্সির পথে
পার হয়ে যাই আলনিতাক-আলনিলাম আর মিন্তাকা-কে,
তবু পাইনিগো তোমার--খালি চোখে আমার,
রুপোর চুড়ি, কালো হাত, সোনালী চুল
শেষ চুম্বন দিয়ে আমি ভাঙাবো অভিমান,
হে গর্ভধারিণী, আমি ভাঙাবো তোমার ভুল।
হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে গেছে অসংখ্য নক্ষত্র,
চন্দ্রিমা-অমাবস্যাও পার করেছি অসংখ্য,
ধুমকেতু, নীহারিকা ছুঁয়ে দেখেছি এক পন
বারান্দায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে অতিক্রম করেছি প্রতিটি আহ্নিকগতি
তবু দেয়া হয়নি তোমার কপালের শেষ চুম্বন।
এখনও সন্ধ্যায় ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে মাথা ঝিম ধরে
জোনাকিরা বারবার আটকে যায় মাকড়সার জালে,
লাফিয়ে পরে একেএকে কুয়োর সব উভচর
তবু শুনতে পাইনা একটিবারও তোমার দরদী স্বর।
আজও তীব্র গন্ধ পাই, প্রতি সন্ধ্যায় ক্ষারকচুর খয়েরী ফুলের
কলার মোচার ভিতর চামচিকা লুকায়,
প্রতিধ্বনি শুনে উড়ে যায় বাদুড় একঝাক
তবু পায়নি তোমার একটিবারও-শুধু তাকিয়ে হই হতবাক।
দেড়বছর আগে, শেষ যে রাতে তোমার কোলে শুয়েছিলাম
মাঝরাতে ছুঁয়ে দেখেছি তোমার চোখ-নাক-দুঠোঁট,
হাজার বছরের ক্লান্ত নিথর দেহ,
আমি ছুঁয়ে দেখেছি- তখনও জাগেনি কেহ।
মেহেদী লাগানো তোমার সোনালী চুল, কালো হাত, রুপোর চুড়ি
কমলা রঙয়ের কম্বল- আমি ছুঁয়ে দেখেছি বারবার,
তবু দিতে পারিনি চুম্বন, মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় যদি আবার।
শুনেছি, তুমি যাবার আগে ছোট বোনকে বলেছ একবার
আমি নাকি ভালোবেসে রোজ চুম্বন দিতেম বারেবার।
বিশ্বাস করঃ তারপর থেকে আমি কাটিয়েছি অনেকদিন
দেখেছি অনেক স্বপ্ন, আবার ভেঙ্গেছি অনেক বীণ,
চুম্বন দিয়েছি, কত জড়িয়ে ধরেছি, তবু পরিশোধ হয়নি ঋণ।
যেদিন থেকে ফেলে এসেছি ৪৮০টি সৌরদিন।
আজও হেঁটেচলি আমি ছায়াপথ ধরে, গ্যালাক্সির পথে
পার হয়ে যাই আলনিতাক-আলনিলাম আর মিন্তাকা-কে,
তবু পাইনিগো তোমার--খালি চোখে আমার,
রুপোর চুড়ি, কালো হাত, সোনালী চুল
শেষ চুম্বন দিয়ে আমি ভাঙাবো অভিমান,
হে গর্ভধারিণী, আমি ভাঙাবো তোমার ভুল।
-- মনোয়ার হোসাইন মানিক, বাংলাদেশ