Type Here to Get Search Results !

কুশিয়ারা...." ত্রিপুরা থেকে পলাশ চক্রবর্তীর কবিতা

কুশিয়ারা.... ( ভারতবর্ষের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার একটি নদীর নাম )


আমি দেখেছি তোমাকে বয়েই চলেছ তীব্রগতিতে চারিদিকে ফেলে সাড়া তুমি সুন্দর কুশিয়ারা। তোমার এপারে ভারত ওপারে বাংলা দেবতা কখনো কভুও আল্লা তোমার বুকেতে টেনেছি নৌকো পাশাপাশি ফেলে দাঁড় কুশিয়ারা তুমি উদার। তোমার ওপারের পাখি এপারেতে আসে দেখেছি অনেক একা বসে বসে মানুষকে তবে বাধা কেন মিছে মনে জাগে রাগ ভারি কুশিয়ারা তুমি কি অহংকারী ? একদা ভেবেছি যাব ওই পারে ভেঙে সব বাধা ক্ষণিকের তরে তোমার কুলেতে ভেসেই বেড়াবো এপারের জল ওপারে ছড়াবো বুকেতে অনেক ক্ষত কুশিয়ারা , তুমি থাকবে তো অক্ষত ? যেভাবে মানুষ চলছে এগিয়ে একসাথে সবে হাতে হাত রেখে এইভাবে যদি চলি কিছুদূর সব বাধা যদি হয়ে যায় দূর তখনই মোরা ওপারেতে যাব ভারত-বাংলা মিলেমিশে খাব হবো যে আত্মহারা মনে রেখো কুশিয়ারা। সেইদিন তুমি কোরোনাকো মান বুকেতে রেখো না কোন অভিমান খুলে দিও দ্বার চিরদিনের তরে পারাপার হব এপারে ওপারে অনেক স্বপ্ন অনেক আশার দিন হবে অবসান কুশিয়ারা ,তব করিব জয়গান । সব পাথরের চাঁই গুড়িয়ে দেব ফুলের কলি দুকূলে ছড়াবো সাক্ষী যে তুমি থাকবে গো শুধু ভবে ফেলে দেবো সাড়া জেনে রেখো কুশিয়ারা । আজি বিদায়ের ক্ষণে তোমায় আমি আদাব জানাই , তোমায় প্রণমী বলি শুধু, ওগো খুলে দাও দ্বার হয়ো না পাগল পারা কুশিয়ারা কুশিয়ারা।

-- পলাশ চক্রবর্তী,ত্রিপুরা

৩১শে আগস্ট ২০১৯

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.