হৃত গৌরব...
শুনেছি কবিরা নাকি আলাভোলা হয় কবিদের জাত নেই, দেশ নেই, ঘর নেই আমি তো কবি নই, তবে কেন ভুলে যাই সব, জাত পাতের ধারেও নেই, হিংসা দ্বেষও নেই। কেমন এক অস্থিরতায় কাটে সময়গুলো মাথায় কেমন যন্ত্রণা হয়, বিবেক নাড়া দেয় আহত, পরাজিত হই নিজের বিবেকের কাছে। কিসের অপরাধ আমায় তাড়া করে জানি না আমার ভেতরে এক হিংস্র সর্পের বসবাস তার লকলকে জিব দিয়ে চেটেপুটে খেয়েছে মগজের সবটুকু, তাই তো বুঝতে পারি না কিছু। বিবেক, সময়ের কাছে আমি পরাজিত এক সৈনিক মাঝে মাঝে মনে হয় এই সমাজ,বিশ্ব ছেড়েছুড়ে চলে যাই যেখানে একমুঠো অন্ন বস্ত্রের জন্য ঘানি টেনে টেনে অস্থির হয়েও হতে হয় খুত পিপাসায় কাতর নারীর সম্ভ্রম সস্তায় বিকোয়,মাকে জীবন দিতে হয় ছেলেধরা বলে। বিংশ শতাব্দীর শেষে এসে যখন নিজেকে সভ্য ভাবি সে আলোকজ্জ্বল সময়ে পেরেছি কি পেরেছি থামাতে অস্থিরতা ! আমার চোখ দিয়ে নির্গত হয় গরম বাষ্প আর কতো হোলি আর দেখতে হবে ধ্বংসযজ্ঞ! আমি আর পারছিনা অস্থির সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে তাই নিজেতে নিজেই চাই বিসর্জন নিতে কি হবে মাথামোটা,আলাভোলা হয়ে শুধুই মগজ পোড়া গন্ধ পাই,ঘূর্ণনের শব্দে দিশেহারা কেন পাইনা ধূপ, চন্দন আর আতরের সৌরভ! আমি যেতে চাইনা আদিমতার যুগে ফিরে পেতে চাই হৃত গৌরব,ফুলের সৌরভ। পাই যদি একটু সুখের হাতছানি,মায়া-মমতার খনি হয়তো আমার আউলা মাথার ঘিলু হবে একটু স্থিতু কবি হয়েও উঠতে পারি লিখতে পারি হাজার বছরের একটি কবিতা হে অমূল্য পৃথিবী যা আমার কাছে মূল্যহীন মনে হয় ফিরিয়ে দিবে কি তা!
-- তাহমিনা বেগম, কবি ও গীতিকার
শুনেছি কবিরা নাকি আলাভোলা হয় কবিদের জাত নেই, দেশ নেই, ঘর নেই আমি তো কবি নই, তবে কেন ভুলে যাই সব, জাত পাতের ধারেও নেই, হিংসা দ্বেষও নেই। কেমন এক অস্থিরতায় কাটে সময়গুলো মাথায় কেমন যন্ত্রণা হয়, বিবেক নাড়া দেয় আহত, পরাজিত হই নিজের বিবেকের কাছে। কিসের অপরাধ আমায় তাড়া করে জানি না আমার ভেতরে এক হিংস্র সর্পের বসবাস তার লকলকে জিব দিয়ে চেটেপুটে খেয়েছে মগজের সবটুকু, তাই তো বুঝতে পারি না কিছু। বিবেক, সময়ের কাছে আমি পরাজিত এক সৈনিক মাঝে মাঝে মনে হয় এই সমাজ,বিশ্ব ছেড়েছুড়ে চলে যাই যেখানে একমুঠো অন্ন বস্ত্রের জন্য ঘানি টেনে টেনে অস্থির হয়েও হতে হয় খুত পিপাসায় কাতর নারীর সম্ভ্রম সস্তায় বিকোয়,মাকে জীবন দিতে হয় ছেলেধরা বলে। বিংশ শতাব্দীর শেষে এসে যখন নিজেকে সভ্য ভাবি সে আলোকজ্জ্বল সময়ে পেরেছি কি পেরেছি থামাতে অস্থিরতা ! আমার চোখ দিয়ে নির্গত হয় গরম বাষ্প আর কতো হোলি আর দেখতে হবে ধ্বংসযজ্ঞ! আমি আর পারছিনা অস্থির সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে তাই নিজেতে নিজেই চাই বিসর্জন নিতে কি হবে মাথামোটা,আলাভোলা হয়ে শুধুই মগজ পোড়া গন্ধ পাই,ঘূর্ণনের শব্দে দিশেহারা কেন পাইনা ধূপ, চন্দন আর আতরের সৌরভ! আমি যেতে চাইনা আদিমতার যুগে ফিরে পেতে চাই হৃত গৌরব,ফুলের সৌরভ। পাই যদি একটু সুখের হাতছানি,মায়া-মমতার খনি হয়তো আমার আউলা মাথার ঘিলু হবে একটু স্থিতু কবি হয়েও উঠতে পারি লিখতে পারি হাজার বছরের একটি কবিতা হে অমূল্য পৃথিবী যা আমার কাছে মূল্যহীন মনে হয় ফিরিয়ে দিবে কি তা!
-- তাহমিনা বেগম, কবি ও গীতিকার
বাংলাদেশ
২৫শে আগস্ট ২০১৯