আবু আলী, ঢাকা ।।
বাংলাদেশকে বিপদগ্রস্ত করার জন্য আসাম ইস্যুতে বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার পর কোন বাংলাদেশি ভারতে যায়নি।
১১ সেপ্টেম্বর বুধবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান, কেন্দ্রীয় নেতা মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেব দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশিদের খেদিয়ে বের করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো বাংলাদেশি মুক্তিযুদ্ধের পরে ভারতে যায়নি। গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে বাংলাদেশকে আবার বিপদগ্রস্ত করার জন্য।
‘নতজানু’ পররাষ্ট্র নীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না দাবি করে ফখরুল বলেন, ‘আজকে সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই বৈধতা নেই, সাহস নেই। নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে তারা আজ এ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তার ডায়াবেটিস অত্যন্ত বেড়ে গেছে, গায়ের ব্যথা বেড়ে গেছে, তিনি কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না, চলতে পারেন না। হুইল চেয়ারে চলছেন। কিন্তু এ সরকার, তার কর্মকর্তারা এবং ডাক্তাররা বলছেন তিনি নাকি সুস্থ হয়েছেন। মূলত তিনি একেবারে সুস্থ নন। অসুস্থ অবস্থায় তিনি কারারুদ্ধ দিন পার করছেন। আমরা তার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি দাবি করছি।’
১১ই সেপ্টেম্বর ২০১৯