আবু আলী, ঢাকা ॥
দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত হাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এতে শুধু অর্থনৈতিক সম্পর্কই নয় উভয় দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও নিবিড় এবং শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। এ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে খুব শিগগিরই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আরও তিনটি বর্ডার হাট। দুদেশের সীমান্তবর্তী মেঘালয় অঞ্চলে নতুন এই হাটগুলো চালু হবে। এছাড়া আরও নয়টি বর্ডার হাট চালুর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রময়েশ বাসাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দুদেশের মানুষে মানুষে সংযোগ বাড়াতে বর্ডার হাট খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে চারটি বর্ডার হাট চালু আছে। সর্বশেষ দুদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আরও দিনটি হাট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এই তিনটি হাটের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়াতে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর ক্ষেত্রেও বর্ডার হাটের ভূমিকা রয়েছে। দেশ দুটির সীমান্তবর্তী মানুষদের জন্য আরও নয়টি বর্ডার হাট চালুর জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে।’
জানা গেছে, আগামী মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের কথা রয়েছে। তার সফর নিয়ে দুদেশের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রস্তত করে রাখা তিনটি বর্ডার হাটের উদ্বোধন হতে পারে।
বর্ডার হাট মূলত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মধ্যে বাণিজ্য বাজার। প্রতি সপ্তাহে একদিন এই হাট চালু থাকে। এই হাট শুধুমাত্র নিত্যদিনের পণ্য কেনার জন্যই নয়, বরং এর মাধ্যমে সীমান্তের উভয় অংশের মানুষের মধ্যে পুনর্মিলন হয়ে থাকে। বর্তমানে চালু থাকা চারটি বর্ডার হাট হচ্ছে- মেঘালয়ের কালীচরণ ও বালাটে এবং ত্রিপুরার শ্রীনগর ও কমলাসাগরের হাট। পর্যায়ক্রমে দেশ দুটির বর্ডারে ২২টি হাট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ-ভারত দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানির পরিমাণ ছিল এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২২শে জানুয়ারি ২০২০