খালেদা জিয়া অস্ত্র দিয়েছিলেন আমি দিয়েছি খাতা-কলম: হাসিনা

আরশি কথা
আবু আলী, ঢাকা ॥
ছাত্রলীগকে আস্থা ধরে রাখতে রাজনীতি করার নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসীদের জায়গায় পরিণত করা হয়েছিল। ছাত্ররা আমাদের ভবিষ্যত। ভবিষ্যেতে তারা দেশকে পরিচালনা করবেন। তাদের যদি বিপথে নামানো হয়, রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য তাদের ব্যবহার করা হয় তাহলে তারা দেশকে নেতৃত্ব দেবে কীভাবে? সততা-আদর্শ ছাড়া সফলতা আসবে না। সাময়িকভাবে নামডাক আসতে পারে, অর্থবিত্ত হতে পারে। কিন্তু দেশের ইতিহাসে মনে রাখার মতো কিছু করতে পারবেন না।
৪ জানুয়ারি শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাঙালির প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের বড় ভূমিকা আছে। শহীদদের তালিকা যদি করি, তাহলে সেখানেও আছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। জাতির যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
ছাত্রলীগের গঠন ও বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংগঠনটির ভূমিকা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এ সংগঠন গড়ে তুলেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রলীগের যে ঐতিহ্য, তা মনে রাখতে হবে। মনে রেখেই একজন কর্মী হিসেবে আচার–আচরণ করা উচিত। এমন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে, যাতে দেশ ও জাতির বিশ্বাস অর্জন করে চলতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আইয়ুব খান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ওই আইয়ুবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করে দিয়েছেন। সাত খুনের আসামিকে, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন।  শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা মেধাবী ছাত্রদের ব্যবহার করেছেন। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার কাজে লাগিয়েছেন ছাত্রজীবনকে।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আদর্শ, সতত ছাড়া নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে না। বঙ্গবন্ধু কখনো অর্থ-সম্পদের দিকে তাকাননি। সারা জীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে রাজনীতি করেছেন।

 ৪ঠা জানুয়ারি ২০২০
3/related/default