আবু আলী, ঢাকা ॥
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের মধ্য দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। ১৭ মার্চ থেকে মুজিব জন্মশত বর্ষ উদযাপিত হবে। ভারত এতে অংশগ্রহন করার জন্য তৈরী রয়েছে। মুজিব বর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে আমাদের দু’দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় ও গভীর হবে।
ফেব্রুয়ারি সোমবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ এ কথা বলেন। এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনের পাঁচসদস্যের প্রতিনিধি দল সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন।
রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, জন্ম শতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। ছোট বেলায় রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছি। এতবছর পর তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি সত্যিই নিজেকে খুব সম্মানিত মনে করছি।
তিনি বলেন, এ সম্পর্কের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বিশাল ভূমিকা রয়েছে। এশীয় নেতাদের মধ্যে তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। বঙ্গবন্ধু যে ভিশন নিয়ে পথ শুরু করেছিলেন সেটা শেষ করতে পারেননি। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়িত করছেন। সোনার বাংলা গড়ার পথে ভারত আগেও পাশে ছিল, আগামীতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
এ সময় হাই কমিশনারের স্বামী প্রশান্ত কুমার দাশ, হাই কমিশননের ফাস্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) নবনিতা চক্রবর্তী, প্রটোকল অফিসার নিরাজ কুমার বিলখা, সহকারি কেএমএস রেড্ডি, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিটু, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আযম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হাই কমিশনার বঙ্গবন্ধুর সমাধী সৌধ ঘুরে দেখেন এবং বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত মন্তব্য বইতে মন্তব্য লেখেন ও স্বাক্ষর করেন।
৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২০