আবু আলী, ঢাকা ॥
সড়ক যোগাযোগে নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এক্সপ্রেসওয়ে ‘ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যান চলাচলের জন্য নবনির্মিত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে যাতায়াতের সময় কয়েক ঘণ্টা কমিয়ে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ৬ লেন বিশিষ্ট ৮ কিলোমিটার কর্ণফুলী (শাহ আমানত শাহ সেতু) সেতুর এপ্রোচ সড়ক ও ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে নির্মিত ২৫টি সেতুর উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করার জন্য দুটি সার্ভিস লেন, পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, দুটি ইন্টারচেঞ্জ, চারটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু ও ৫৪টি কালভার্ট থাকা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করা হয়েছে।
দ্রুত গতির এ সুপার মহাসড়ক ঢাকা শহরের সঙ্গে পুরো খুলনা ও বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের কিছু অংশের যোগাযোগে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। মুন্সিগঞ্জসহ দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষ সরাসরি এ আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপকৃত হবেন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার পর যাত্রীরা এক্সপ্রেসওয়েটির পুরো সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তখন এক্সপ্রেসওয়ের দুই অংশ- যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার ও পাঁচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার যুক্ত হয়ে যাবে।
১২ই মার্চ ২০২০
১২ই মার্চ ২০২০