Type Here to Get Search Results !

দুর্গম অঞ্চলে দুই শতাধিক শিশুর মুখে খাবার তুলে দিলো দীপ স্পীচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিক

আবু আলী, আরশিকথাঃ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কে পুরো বিশ্ব। ত্রিপুরা রাজ্যেও পড়ছে তার প্রভাব। করোনাকে ঠেকাতে সরকারিভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ঘর থেকে বের হতে পারবে না কেউ। এমন নির্দেশ মেনে চলছে সবাই। কিন্তু খেটে খাওয়া দিনমজুরদের কি হবে? একদিন কর্ম না করলে মুখে খাবার উঠে না যাদের। বিশেষ করে দুর্গম এলাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ভুগছেন মানুষ। তাদের পরিবার এবং সন্তানদের খাবার জোটাতে সমস্যায় পড়েছেন অভিভাবকেরা।
 ঠিক সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দীপ স্পীচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিক।
বিশালগড় হরিষ নগরের সবর পাড়ার দুর্গম এলাকায় ৭৮ পরিবারের শিশুদের মধ্যে ১২ এপ্রিল খাবার তুলে দেন দীপ স্পীচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিকের কর্ণধার তথা অডিওলজিস্ট দেবল মজুমদার ও স্পীচ থেরাপিস্ট মৌমিতা দাসগুপ্ত।
এ সময় সিপাহীজলা পুলিশ আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী, বিশালগড় মহিলা থানার ওসি শিউলি দাস উপস্থিত ছিলেন।
সিপাহীজলা পুলিশ আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, আমাদেরও সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। তার আলোকে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। দুর্গম অঞ্চলে খাবার সরবরাহ করছি। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে দীপ স্পীচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিক। জানা গেছে, দীপ স্পীচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিক প্রথম দিকে এনজিওর মাধ্যমে অসহায় মানুষের সহযোগিতা করেছেন।

এ বিষয়ে দীপ স্পীচ এন্ড হিয়ারিং ক্লিনিকের কর্ণধার মৌমিতা দাসগুপ্ত আরশি কথাকে বলেন, তিনটি এনজিওর মাধ্যমে অভাবী মানুষকে সহায়তা করেছি। কিন্তু পুলিশ আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী দাদার ফেসবুক মারফত জানতে পারি দুর্গম এলাকায় বাচ্চারা খাবার পাচ্ছে না। এজন্য এখানে আসলাম। আমাদের শিশুরা খেতে চায় না। অনেক কষ্ট করে তাদের খাওয়াতে হয়। আর এসব শিশুরা খাবার পাচ্ছে না। একটু খাবারের জন্য তারা অপেক্ষায় থাকেন। তিনি আরো বলেন, আমি আমার ফ্রেন্ডস সার্কেলকেও বলব তারাও যেন এগিয়ে আসেন। মানুষের জন্যই মানুষ।


১৪ই এপ্রিল ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.