করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১২ মে পর্যন্ত ১৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।এর মধ্যে ৬ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা জনকল্যাণে বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হচ্ছে।আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ শুক্রবার(১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছেন।তিনি আরও বলেন,এই টাকা কোথায় কিভাবে খরচ করা হবে,কারা মনিটরিং করবেন সবকিছু রাজ্য সরকার ব্যবস্থা করে নিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে কুড়ি হাজার মোটর শ্রমিক ও ই-রিক্সা চালককে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।পিছিয়ে পড়া ১২টি ব্লকের প্রায় ৯২ হাজার পরিবারকে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।বহিঃরাজ্যে আটকে পরাদের সাহায্য করা হয় এবং তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এখনও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য বা দান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী শ্রী নাথ।বহিঃরাজ্য থেকে যারা রাজ্যে ফিরে আসছেন তারা বাড়িঘরে গেলে কেউ যেন প্রতিবাদ বা আন্দোলন না করেন সেই আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী।তিনি বলেন,ওরা এই রাজ্যেরই লোক।তাদেরকে গ্রহণ করতে হবে।তাছাড়া সমস্ত রকম আইনি প্রক্রিয়া এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমেই তাদের ছাড়া হচ্ছে।তাই অযথা প্যানিক সৃষ্টির বা আতঙ্ক ছড়ানোর প্রয়োজন নেই।তিনি সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী আরও বলেন,কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বহিঃরাজ্য থেকে ফিরে কেউ যখন বাড়িঘরে যাচ্ছেন তখন এলাকাবাসী বাধা দিচ্ছে।তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দেন মন্ত্রী শ্রী নাথ।প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থ সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের বলে জানান তিনি।বিএসএফ জওয়ানদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ বেড়ে গিয়েছিলো।এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা না ছড়ানোয় স্বস্তি প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী।করোনা মোকাবিলায় তিনি সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দেন।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৫ই মে ২০২০