আবু আলী, ঢাকা ।।
মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, তাই সরকারি অফিস-আদালত সব সীমিত আকারে চালু করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ এপ্রিল সোমবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গণভবন থেকে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু থমকে গিয়েছিল। ইতোমধ্যে আমরা ছুটি ঘোষণা দিয়েছি। ৫ মে পর্যন্ত ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেটাকে আমরা ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে চাচ্ছি। কিন্তু, সঙ্গে সঙ্গে যেহেতু রমজান মাস, এই রমজান মাসে যাতে কেনাবেচা চলতে পারে, তার জন্য দোকানপাট খোলা বা যেহেতু রোজার সময় ইফতার কেনা বা সেহরি খাওয়া বা রোজার মাসে বাজারহাট করা, সেগুলো যাতে চলতে পারে, সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি রেখে সেগুলো চালু রাখারও নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। প্রতিটি জেলায় যেসব ছোট-খাট, ক্ষুদ্র শিল্প আছে, সেগুলো তারা চালাতে পারবেন। সেইভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির চাকাটা যাতে গতিশীল থাকে, মানুষকে সুরক্ষিত রেখে, মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে, সেগুলো যাতে পরিচালিত হতে পারে, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এবং এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে বেশ কতগুলো নির্দেশনা আপনারা খুব শিগগিরই পাবেন। ... আমাদের সরকারি অফিস-আদালত সব সীমিত আকারে আমরা চালু করে দিচ্ছি। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। সামনে ঈদ, ঈদের আগে কেনাকাটা বা যা যা দরকার সেগুলোও যাতে মানুষ করতে পারে।’
‘কিন্তু, এখানে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, খুব বেশি খোলামেলা, সবার সঙ্গে মেশা বা এক জায়গায় জড়ো হওয়া বা বড় জনসমাগম করা— এই জায়গা থেকে সবাইকে মুক্ত থাকতে হবে। সেখানে কিন্তু সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শুধু আমরা না, বিশ্বব্যাপী এ অবস্থাটা চলছে। যদিও আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেছি। আমরা ভালো ফলাফলও পাচ্ছি’, যোগ করেন তিনি।
৪ঠা এপ্রিল ২০২০
৪ঠা এপ্রিল ২০২০