নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলাঃ
সেই পৌরাণিক কাল থেকে চলতে থাকা পরম্পরা ভেঙে দিলো করোনা।রথযাত্রা উৎসবে ভগবান মন্দির থেকে বের হয়ে ভক্তকে দর্শন দেন।এই দিনে ভক্তরা স্পর্শ করতে পারেন ভগবানকে।কিন্তু এবছর সবকিছু উলট পালট করে দিলো করোনা।করোনা পরিস্থিতির দরুন বের হলোনা রথ।জগন্নাথ জিউ মন্দির ও ইসকন মন্দির কেউই এবছর সরকারি বিধিনিষেধের কারণে রথ বের করেনি।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৩শে জুন ২০২০
সেই পৌরাণিক কাল থেকে চলতে থাকা পরম্পরা ভেঙে দিলো করোনা।রথযাত্রা উৎসবে ভগবান মন্দির থেকে বের হয়ে ভক্তকে দর্শন দেন।এই দিনে ভক্তরা স্পর্শ করতে পারেন ভগবানকে।কিন্তু এবছর সবকিছু উলট পালট করে দিলো করোনা।করোনা পরিস্থিতির দরুন বের হলোনা রথ।জগন্নাথ জিউ মন্দির ও ইসকন মন্দির কেউই এবছর সরকারি বিধিনিষেধের কারণে রথ বের করেনি।
কিন্তু তাতে কি? প্রভু জগন্নাথ,বলভদ্র ও শুভদ্রা কি মাসির বাড়ি যাবেন না? ভগবান তার মাসির বাড়ি অর্থাৎ গুন্ডিচা মন্দিরে গেলেন।কিন্তু রথে চেপে নয়।চার চাকার গাড়িতে চেপে।
অন্যান্য বারের মতো এবছরও ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ ওরিয়েন্ট চৌমুহনীর কাছে অস্থায়ী ভাবে গুন্ডিচা মন্দির গড়ে তোলে।নেই ভক্ত,নেই রথ,নেই কলা বেচা।তবুও এভাবেই হলো 'রথযাত্রা উৎসব'।সাত দিন ভাই বোনদের নিয়ে প্রভু জগন্নাথ গুন্ডিচা মন্দিরেই অবস্থান করবেন।
এদিকে জগন্নাথ জিউ মন্দির থেকেও রথ বের করা হয়নি।জগন্নাথ মন্দিরের মূল গেইটে তালা।দুপুরের দিকে পুণ্যার্থীরা এসে ভিড় জমান গেইটের বাইরে।কিন্তু গেইট খোলা হয়নি।
মন্দিরের সেবায়েত ও পুরোহিতরাই প্রভু জগন্নাথ,বলভদ্র ও সুভদ্রাকে মূল মন্দির থেকে পিছনের দিকে অন্য একটি মন্দিরে (গুন্ডিচা মন্দির) নিয়ে যান।সেখানেই সাত দিন অবস্থান করবেন জগন্নাথ,বলভদ্র ও বোন সুভদ্রা।করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক নির্দেশিকার দরুন বড় রথগুলি না বের হলেও কচিকাঁচাদের কিন্তু আটকে রাখা যায়নি।শিশু কিশোরেরা এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন অলিগলিতে রথ নিয়ে বের হয়।রথের দড়িতে টান দিলে পূর্ণ হয় মনস্কামনা।এই বিশ্বাসে ভক্তরা এই সমস্ত ছোট রথগুলিতে দড়িতে টান দেন।করোনা পরিস্থিতিতে এভাবেই সম্পন্ন হয় রথযাত্রা উৎসব।২৩শে জুন ২০২০