নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ
লকডাউনের মধ্যেই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার (৩১ জুলাই) ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হয়।এবছর গড়ে পাশের হার ৮০.৮০ শতাংশ।তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের মধ্যে পাশের হার যথাক্রমে ৮৩.৮১ শতাংশ ও ৬৮.৫৩ শতাংশ।জেলাস্তরে সর্বোচ্চ পাশের হার সিপাহীজলায় ৮৪.২৭% । সর্বনিম্ন ধলাইতে ৭৩.৮৪% । একশো শতাংশ পরীক্ষায় সফল স্কুল রয়েছে ২৭টি।আর একটি স্কুল থেকে কোনও ছাত্রছাত্রী পাশ করতে পারেনি।
পর্ষদ সভাপতি ভবতোষ সাহা এদিন সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণা করেন।এদিকে এবারই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিকে কলা,বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগে পৃথক ভাবে কৃতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।তিনটি বিভাগে মোট ৩৯ জন কৃতীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।এবছর রাজধানী আগরতলার স্কুলগুলির পাশাপাশি মহকুমার স্কুলগুলিও দাপট দেখিয়েছে।আরও একটি বড় খবর হচ্ছে তিনটি বিভাগেই প্রথম স্থান অর্জন করেছে ছাত্রীরা।বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম হয় আর্য কলোনি স্কুলের রুচিকা সরকার(৪৭৩)।বাণিজ্য বিভাগে প্রথম হয় প্রাচ্যভারতী স্কুলের স্বরূপা বনিক(৪৫৫)।আর কলা বিভাগে প্রথম স্থান দখল করে বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের বিপাশা চক্রবর্তী।বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে উমাকান্ত একাডেমির দীপজয় রুদ্র শর্মা(৪৭২)।তৃতীয় বাইখোরা স্কুলের অঙ্কিতা বৈদ্য(৪৬৯)।চতুর্থ মোহনপুর দ্বাদশের অঙ্কন দেব(৪৬৬)।পঞ্চম উমাকান্ত একাডেমির রূপক সরকার(৪৬১)।ষষ্ঠ নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের আকাশদীপ দে(৪৫৯)।যুগ্মভাবে সপ্তম হয় বি বি ইন্সটিটিউশানের শিবরাজ দেব,উমাকান্ত একাডেমি ইংরেজি মাধ্যমের হৃতভাষ দেবনাথ ও শিশুবিহারের পথিক দে।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৫ । যুগ্মভাবে অষ্টম হয় বিবেকানন্দ শিশুনিকেতনের রশ্মি দেব ও শিশুবিহারের বর্ণিতা সূত্রধর।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৪ । যুগ্মভাবে নবম হয় গোল্ডেন ভ্যালি স্কুলের তন্ময় নাথ,মহারাণী তুলসিবতী গার্লসের সৃষ্টি বনিক,নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের রাজশ্রী দেব ও শিশুবিহারের ইশিতা পাল।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫২ । যুগ্মভাবে নবম হয় উদয়পুর ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পল্লবী দেবনাথ ও ধর্মনগর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দেবর্চনা ভট্টাচার্য।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫১ । এদিকে কলা বিভাগে দ্বিতীয় হয় শিশুবিহারের রাজবীর দত্ত(৪৭১)।তৃতীয় বিলোনিয়া বিদ্যাপীঠের পায়েল দেবনাথ(৪৬৭)।চতুর্থ বিলোনিয়া বিদ্যাপীঠেরই নিকিতা নাগ(৪৬৬)।যুগ্মভাবে পঞ্চম হয় ঋষ্যমুখ দ্বাদশের সন্দিপা মল্ল ও নেতাজী বিদ্যাপীঠ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সৌভিক চক্রবর্তী।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৫ । ষষ্ঠ হয় খোয়াই সরকারি দ্বাদশ শ্রেণী বালিকা বিদ্যালয়ের স্নিগ্ধা চৌধুরী(৪৬৪)।সপ্তম স্থান দখল করে গান্ধীগ্রাম স্কুলের সংঘমিত্রা দেব(৪৬৩)।অষ্টম হয় ঋষ্যমুখ স্কুলের সুনন্দনা শীল(৪৬১)।নবম শিশুবিহারের ধৃতিমান ভট্টাচার্য(৪৬০)।দশম মেলাঘর দ্বাদশ শ্রেণী বালিকা বিদ্যালয়ের মৌসুমি দাস(৪৫৯)।বাণিজ্য বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে কামিনীকুমার সিংহ স্কুলের অঙ্কিতা পাল(৪৪৬)।তৃতীয় নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের সবিতা পাল(৪৪০)।চতুর্থ উমাকান্ত একাডেমির প্রকাশ জ্যোতি শর্মা(৪৩৭)।পঞ্চম কড়ইমুড়া দ্বাদশের জন্নতুল ফেরদৌস ও বিশালগড় দ্বাদশের অন্তরা দেবনাথ।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪২৮ ।ষষ্ঠ উমাকান্ত একাডেমির বিশাল সাহা(৪২১)।সপ্তম নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের তিথি সাহা(৪২০)।অষ্টম কামিনী কুমার সিংহ স্কুলের সুমন রুদ্র পাল(৪১০)।নবম একই স্কুলের জয়দীপ সাহা(৩৯৮)।দশম উমাকান্ত একাডেমির হৃদয় সাহা(৩৯৬)।পর্ষদ সভাপতি জানানযারা উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করতে ইচ্ছুক তাদের আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে স্কুলে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে এবং পর্ষদে জমা দেবার শেষ তারিখ ১৪ আগস্ট।এদিন উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে মাধ্যমিকের পুরাতন সিলেবাসে পরীক্ষার এবং মাদ্রাসা আলিম নতুন সিলেবাসে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।মাদ্রাসা ফাজিল আর্টস ও থিওলজি বিভাগেরও ফল প্রকাশ করা হয়েছে।এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে কলা,বাণিজ্য ও বিজ্ঞান প্রতিটি বিভাগেই পাশের হার বেড়েছে।কলা বিভাগে গত বছর যেখানে ছিলো ৭৯.০৫% । এবছর তা বেড়ে হয়েছে ৭৯.৫২% । বাণিজ্য বিভাগে গত বছর ছিলো ৭৮.১৩%।এবছর তা বেড়ে হয় ৭৮.৫৬% । একই ভাবে বিজ্ঞান বিভাগে গত বছর ছিলো ৮৮.৯৪% । এবছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৯.৮৫% ।গত বছর পাশের হার যেখানে গড়ে ছিলো ৮০.৫১% । এবছর তা বেড়ে হয়েছে ৮০.৮০% । প্রসঙ্গত,এবছর করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে ২৩ মার্চ থেকে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
আরশিকথা
৩১শে জুলাই ২০২০
লকডাউনের মধ্যেই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার (৩১ জুলাই) ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হয়।এবছর গড়ে পাশের হার ৮০.৮০ শতাংশ।তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের মধ্যে পাশের হার যথাক্রমে ৮৩.৮১ শতাংশ ও ৬৮.৫৩ শতাংশ।জেলাস্তরে সর্বোচ্চ পাশের হার সিপাহীজলায় ৮৪.২৭% । সর্বনিম্ন ধলাইতে ৭৩.৮৪% । একশো শতাংশ পরীক্ষায় সফল স্কুল রয়েছে ২৭টি।আর একটি স্কুল থেকে কোনও ছাত্রছাত্রী পাশ করতে পারেনি।
পর্ষদ সভাপতি ভবতোষ সাহা এদিন সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফলাফল ঘোষণা করেন।এদিকে এবারই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিকে কলা,বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগে পৃথক ভাবে কৃতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।তিনটি বিভাগে মোট ৩৯ জন কৃতীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।এবছর রাজধানী আগরতলার স্কুলগুলির পাশাপাশি মহকুমার স্কুলগুলিও দাপট দেখিয়েছে।আরও একটি বড় খবর হচ্ছে তিনটি বিভাগেই প্রথম স্থান অর্জন করেছে ছাত্রীরা।বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম হয় আর্য কলোনি স্কুলের রুচিকা সরকার(৪৭৩)।বাণিজ্য বিভাগে প্রথম হয় প্রাচ্যভারতী স্কুলের স্বরূপা বনিক(৪৫৫)।আর কলা বিভাগে প্রথম স্থান দখল করে বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের বিপাশা চক্রবর্তী।বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে উমাকান্ত একাডেমির দীপজয় রুদ্র শর্মা(৪৭২)।তৃতীয় বাইখোরা স্কুলের অঙ্কিতা বৈদ্য(৪৬৯)।চতুর্থ মোহনপুর দ্বাদশের অঙ্কন দেব(৪৬৬)।পঞ্চম উমাকান্ত একাডেমির রূপক সরকার(৪৬১)।ষষ্ঠ নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের আকাশদীপ দে(৪৫৯)।যুগ্মভাবে সপ্তম হয় বি বি ইন্সটিটিউশানের শিবরাজ দেব,উমাকান্ত একাডেমি ইংরেজি মাধ্যমের হৃতভাষ দেবনাথ ও শিশুবিহারের পথিক দে।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৫ । যুগ্মভাবে অষ্টম হয় বিবেকানন্দ শিশুনিকেতনের রশ্মি দেব ও শিশুবিহারের বর্ণিতা সূত্রধর।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৪ । যুগ্মভাবে নবম হয় গোল্ডেন ভ্যালি স্কুলের তন্ময় নাথ,মহারাণী তুলসিবতী গার্লসের সৃষ্টি বনিক,নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের রাজশ্রী দেব ও শিশুবিহারের ইশিতা পাল।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫২ । যুগ্মভাবে নবম হয় উদয়পুর ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পল্লবী দেবনাথ ও ধর্মনগর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দেবর্চনা ভট্টাচার্য।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫১ । এদিকে কলা বিভাগে দ্বিতীয় হয় শিশুবিহারের রাজবীর দত্ত(৪৭১)।তৃতীয় বিলোনিয়া বিদ্যাপীঠের পায়েল দেবনাথ(৪৬৭)।চতুর্থ বিলোনিয়া বিদ্যাপীঠেরই নিকিতা নাগ(৪৬৬)।যুগ্মভাবে পঞ্চম হয় ঋষ্যমুখ দ্বাদশের সন্দিপা মল্ল ও নেতাজী বিদ্যাপীঠ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সৌভিক চক্রবর্তী।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৫ । ষষ্ঠ হয় খোয়াই সরকারি দ্বাদশ শ্রেণী বালিকা বিদ্যালয়ের স্নিগ্ধা চৌধুরী(৪৬৪)।সপ্তম স্থান দখল করে গান্ধীগ্রাম স্কুলের সংঘমিত্রা দেব(৪৬৩)।অষ্টম হয় ঋষ্যমুখ স্কুলের সুনন্দনা শীল(৪৬১)।নবম শিশুবিহারের ধৃতিমান ভট্টাচার্য(৪৬০)।দশম মেলাঘর দ্বাদশ শ্রেণী বালিকা বিদ্যালয়ের মৌসুমি দাস(৪৫৯)।বাণিজ্য বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে কামিনীকুমার সিংহ স্কুলের অঙ্কিতা পাল(৪৪৬)।তৃতীয় নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের সবিতা পাল(৪৪০)।চতুর্থ উমাকান্ত একাডেমির প্রকাশ জ্যোতি শর্মা(৪৩৭)।পঞ্চম কড়ইমুড়া দ্বাদশের জন্নতুল ফেরদৌস ও বিশালগড় দ্বাদশের অন্তরা দেবনাথ।তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪২৮ ।ষষ্ঠ উমাকান্ত একাডেমির বিশাল সাহা(৪২১)।সপ্তম নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের তিথি সাহা(৪২০)।অষ্টম কামিনী কুমার সিংহ স্কুলের সুমন রুদ্র পাল(৪১০)।নবম একই স্কুলের জয়দীপ সাহা(৩৯৮)।দশম উমাকান্ত একাডেমির হৃদয় সাহা(৩৯৬)।পর্ষদ সভাপতি জানানযারা উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করতে ইচ্ছুক তাদের আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে স্কুলে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে এবং পর্ষদে জমা দেবার শেষ তারিখ ১৪ আগস্ট।এদিন উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে মাধ্যমিকের পুরাতন সিলেবাসে পরীক্ষার এবং মাদ্রাসা আলিম নতুন সিলেবাসে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।মাদ্রাসা ফাজিল আর্টস ও থিওলজি বিভাগেরও ফল প্রকাশ করা হয়েছে।এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে কলা,বাণিজ্য ও বিজ্ঞান প্রতিটি বিভাগেই পাশের হার বেড়েছে।কলা বিভাগে গত বছর যেখানে ছিলো ৭৯.০৫% । এবছর তা বেড়ে হয়েছে ৭৯.৫২% । বাণিজ্য বিভাগে গত বছর ছিলো ৭৮.১৩%।এবছর তা বেড়ে হয় ৭৮.৫৬% । একই ভাবে বিজ্ঞান বিভাগে গত বছর ছিলো ৮৮.৯৪% । এবছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৯.৮৫% ।গত বছর পাশের হার যেখানে গড়ে ছিলো ৮০.৫১% । এবছর তা বেড়ে হয়েছে ৮০.৮০% । প্রসঙ্গত,এবছর করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে ২৩ মার্চ থেকে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়।
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
আরশিকথা
৩১শে জুলাই ২০২০