(নেপালি কবিতা)
চুপচাপ রয়েছে!
তাকিয়ে থাকি মানুষের বস্তির দিকে
সময়ও কথা বলে না
ডিপ্রেসানের কোলে আশ্রয় নিয়ে
ক্ষতের মামড়িদের খুঁজে চলো না
শুকোতে থাক্ না রক্ত ও পুঁজের গন্ধ
আয়ু পরিপক্ব হয়ে শ্বেতকায় এখন।
একমনে ভাবি
মহাকাল বাবার আস্হা ও বিশ্বাসকে
মনের ভিতরে টাঁকতেই ভুলে গিয়েছি
ঝড় বাতাসের মত গোলাকার ঘুরে বেড়ায়
মনের কথারা।
জাগ্রত চেহারাকে চায়ের রঙের মত
গরম জলে লাল দেখি
এ সময়ে জানতে পারি যে
স্বপ্নেরা ফিকে হয়ে থাকে।
সুনমায়া ও মনমায়ার গমবুটের পাড়ির ক্ষতচিহ্নগুলো
এই কাদাটে মাটিতে
প্রত্যেক বর্ষার জলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
আমাদের কপাল দিয়ে বয়ে চলা ভাগ্য
রেশন আদিতেই সংবলিত পাই।
বোনাস ও উপরি পাওনার নিয়মিত টোপ
সময়ের মামড়ি উপড়ে যাওয়ার ক্রম,
ললাটের ঘাম দিয়ে ভাগ্য যেন মুছে গিয়েছে
সরকার থেকে পাওয়া বৃদ্ধ ভাতার মত
পঞ্চায়েত অফিসের ফাইলে চ্যাপটা হয়ে।
আশায়
ভরসায়
চুপচাপ বেঁচে থাকা আয়ু
চুপচাপ রয়েছে!
তাকিয়ে থাকি মানুষের বস্তির দিকে।
-(নেপালি কবিতা 'বুড়ো ঘাম'-এর বঙ্গানুবাদ)
-কবি সুকরাজ দিয়ালী (দার্জিলিং)
অনুবাদ: বিলোক শর্মা (ডুয়ার্স, পশ্চিমবঙ্গ)
১৩ই ডিসেম্বর ২০২০