কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ পেয়ে ব্যপক প্রচারে নেমেছে বিজেপি।গত দু'দিন সারা রাজ্যে কৃষি আইনের সপক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনের পর বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) করলো সভা।রবীন্দ্র ভবনের সামনে এদিন দুপুরে এই সভা হয়।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা এই সভায় যোগ দেন।
স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী কি বলেন সেদিকেই সবার নজর ছিলো।মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে কমিউনিস্টদের আক্রমণ করে বলেন,তারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে।অটল জলধারা মিশন,জল জীবন মিশন,কিষাণ সম্মান নিধির মতো প্রকল্পগুলি তিনি তুলে ধরেন।তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার নাবার্ড ও গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দলিল পরচা ছাড়া ভূমিহীন কৃষকদের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।আড়াই বছরে রাজ্যের কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ২২৯ কোটি টাকা জমা পড়েছে।এক বছরে ছ'হাজার টাকা করে কৃষকদের দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।মুখ্যমন্ত্রী বলেন,কমলপুরের লেবু এখন দুবাই যায়।রাজ্যের কুইন আনারস প্রধানমন্ত্রী,রাষ্ট্রপতি সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।তাতে রাজ্যের আনারসের পরিচিতি বেড়েছে।তিনি এও বলেন,কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন কয়লাখনির নিরাপত্তার জন্য টিএসআর নিয়ে যেতে।কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী তাতে রাজি হয়ে যান।ছত্তিশগড়ে এখন টিএসআর জওয়ানরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত।তাতে ত্রিপুরায় প্রতি বছর ৫০ কোটি টাকা আসছে।মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং রাজ্য সরকারের সাফল্যগুলি তুলে ধরেন।কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,কৃষি আইন সম্পর্কে মানুষকে অবগত করানোর জন্য।কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।এদিনের কৃষক সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়,প্রদেশ বিজেপি'র সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু রায়, পাপিয়া দত্ত সহ অন্যান্য কার্যকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৬ই ডিসেম্বর ২০২০