বাংলাদেশের সরকারিভাবে (জি-টু-জি) এবং দরপত্রের মাধ্যমে চাল রপ্তানি প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্নের আশ্বাস দিয়েছে ভারত। ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সাাৎ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এই আশ্বাস দেন। খবর খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের জি-টু-জি এবং উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির মাধ্যমে ভারত থেকে চাল আমদানি যাতে দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হয় সেজন্য ভারতের ভেতর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পোর্টের সব সুবিধা দেয়ার নিশ্চয়তা দেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এছাড়াও খাদ্য পণ্যের মান উন্নয়ন, নিরাপদ খাদ্য, টেস্টিং ল্যাবরেটরি, চলমান খাদ্যগুদাম নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের পরীতি পুরনো বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা দিন দিন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। প্রতিবেশী দু-দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হলে উভয় দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হয়। বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেই এই করোনা মহামারির সময়ও দু-দেশ একসঙ্গে কাজ করছে।’ বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী আরও বলেন, টিকা উৎপাদন ও বিতরনে জড়িত ভারতের কোন মন্ত্রনালয় টিকা সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, টেক্সটে বলা হয় নাই যে, এক হাজার টিকা এখন উৎপাদিত হল এবং তা এখনই দেয়া হবে। বাংলাদেশের মানুষ কি ভারতীয়রা যখন পাবে তখনই পাবে এমন প্রশ্নে দোরাইশ্বামী বলেন, কখন ভারতের মানুষ টিকা পাবে আমি বলতে পারি না। তবে টিকা উৎপাদন ভারতের অনেক কোম্পানী কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব টিকা উৎপাদিত হবে ও বাজার আসবে। ভারতের সরকার যাদের টিকা দিতে অঙ্গীকার করেছে তারা সবাই পাবে। প্রথম পর্যায়ে ভারতের কারা টিকা পাবে তা আমরা আর বাংলাদেশে কারা পাবে তা আপনারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঠিক করবেন।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
৭ই জানুয়ারি ২০২১