দেশ এগিয়ে যায় তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে। দেশ এগিয়ে থাকে নতুন প্রজন্মের সাফল্যে। বিশ্ব দরবারে প্রতিভাবান নতুন প্রজন্মের হাত ধরে ত্রিপুরা রাজ্য ইতিমধ্যেই বহু উদাহরণ গড়েছে।এই প্রজন্মের সাফল্যে আমরা গর্বিত হয়েছি অনেকবার। আবারও এক নতুন প্রজন্মের সাফল্যে আমাদের মাথা উঁচু থাকলো।
২০১৮-১৯ সাল ৫ম বর্ষ নজরুল নৃত্যে বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদ থেকে সর্বভারতীয় ফলাফলে প্রথম হয় ত্রিপুরা রাজ্যের উদীয়মান নৃত্যশিল্পী শ্যামলিমা দে। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আগরতলাস্থিত রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে পরিষদ এর পক্ষ থেকে তার হাতে স্বর্ণ পদক ও এক কালিন বৃত্তি সহ শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় ৷
পেশায় শিক্ষক রাজ্যের স্বনামধন্য কবি শ্যামল কান্তি দে মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ কন্যা শ্যামলিমার নৃত্যগুরু প্রয়াত ডঃ উমাশংকর চক্রবর্তী। রাজ্যের খ্যাতনামা এই নৃত্যগুরুর অকাল প্রয়াণ এর পর তাঁর ছাত্রী মানালী রায় এর কাছে শ্যামলিমা তালিম নেয় এবং ২০১৩ সালে সি সি আরটি স্কলারশিপ পায় ৷ বর্তমানে সে ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্ট নৃত্যগুরু ডঃ দেবজ্যোতি লস্কর মহাশয় এর কাছে তালিম নিচ্ছে ৷নৃত্যের শুরুকাল থেকেই রাজ্যের বিশিষ্ট তবলা গুরু নারায়ণ বিশ্বাসের স্নেহধন্য শ্যামলিমা।
ত্রিপুরার মেয়ে শ্যামলিমা দেশে নজরুল নৃত্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় পরিবার সহ তার নিকটজনেরা আনন্দে আপ্লুত।প্রসঙ্গত শ্যামলিমার পিতা তথা বিশিষ্ট কবি শ্যামল কান্তি দে আরশিকথা গ্লোবাল সাহিত্য ফোরামের পরিচালন কমিটির অন্যতম সদস্য।
আরশিকথা প্রতিভাবান নৃত্যশিল্পী শ্যামলিমা দে এর আরও সাফল্য কামনা করে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে।
প্রধান সম্পাদকের কলমে
আরশগিকথা হাইলাইটস
৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২১