মিয়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র চায় বাংলাদেশ ॥ সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার
আরশি কথাফেব্রুয়ারী ০১, ২০২১
0
আবু আলী, ঢাকা, আরশিকথা ॥
বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে যে মিয়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত থাকবে। ১ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে অং সান সু চি ও অন্যান্য রাজনীতিবিদদের আটক করে সেনাবাহিনী দেশটির মতা দখল ও আগামী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারির পরিপ্রেেিত এমন মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবিৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অনুসরণ করে এবং তা তুলে ধরে। আমরা আশা করি, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা বহাল থাকবে। এতে আরও বলা হয়, ‘পার্শ্ববর্তী ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায় ঢাকা।’ ‘আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক উন্নয়নে সম্পর্ক বজায় রাখতে অবিচল ছিলাম এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশা করি যে এই প্রক্রিয়াগুলো বজায় থাকবে।’
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের পর থেকে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তাদের ফেরত পাঠানোই বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলাও চলছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে।
বারবার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। রোহিঙ্গারা বলছেন, রাখাইন রাজ্য প্রত্যাবাসনের উপযোগী নয়। কারণ, সেখানে নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা এবং মৌলিক অধিকারের কোনো নিশ্চয়তা নেই।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। সেখানে কে মতায় আছেন তা বিবেচ্য নয়। চুক্তিটি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
সেনাবাহিনী মতায় থাকলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো প্রভাব পরবে না আশা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ১৯৮০ বা ১৯৯০ এর দশকেও সামরিক বাহিনী মতায় ছিল। তখনও আমরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করতে পেরেছি।
অন্যদিকে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার-বান্দরবানের নাই্যংছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলার তুমব্রু, ঘুমধুম, চাকঢালা সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিজিবি। ১ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল থেকেই সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিজিবি।
বিজিবি কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার জানিয়েছেন, সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেণ করছে।