১৬ জানুয়ারি, ২০২১ সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল। ১৬ জানুয়ারি ২০২১ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত রাজ্যে এক লক্ষ ১১ হাজার ৪৭২টি টিকা দেওয়া হয়েছে। ১ মার্চ, গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও সাধারণ মানুষকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হলো। তৃতীয় দফায় এই কর্মসূচিতে প্রথমে ৬০ বছর এবং ৬০- উপর ব্যক্তি, ৪৫ বছর বয়স থেকে ৫৯ বছর বয়সের নাগরিক যারা নির্দিষ্ট রোগে (ভারত সরকার দ্বারা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ দপ্তর চিহ্নিত রোগ সমূহ) আক্রান্ত তাদের কোভিড-১৯ টিকাকরণের আওতায় আনা হবে। একইসঙ্গে কোউইন পোর্টালে নিবন্ধীকৃত সেইসব স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী কর্মী এবং প্রথম সারির কর্মী যারা করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের এই পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। তৃতীয় দফায় টিকাকরণের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কো-উইন ২.০ পোর্টালে অনলাইনে নাম রেজিস্টার করতে পারবেন। এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে তারা টিকাকরণ স্থানেও নাম রেজিস্টার করতে পারবেন। বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে এক্ষেত্রে সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় সরকারের ধার্য করা মূল্য দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে ২০টি রোগে আক্রান্ত (৪৫-৫৯ বছর) গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিকে টিকাদানের এই পর্যায়ে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কো-উইন ২.০পোর্টাল অথবা আরোগ্য সেতুতে নাম রেজিস্টার করার সময় সাধারণ মানুষকে পরিচয় পত্র, জন্মের তারিখ, আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, স্মার্ট কার্ড, ভোটার আইডি কোমবিডিটর সার্টিফিকেটের জন্য দিতে হবে স্থানীয় তাদের পরিচয় পত্র দেখাতে হবে। টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নেবেন । কোভিড-১৯ টিকাকরণের তৃতীয় পর্যায়ে যে সমস্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী কর্মী এবং প্রথম সারির কর্মী যাদের কো-উইন পোর্টালে নাম রেজিস্টার হয়নি অথচ টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া হয়েছে সেসব কর্মীদের কো-উইন ২.০ পটালে নাম রেজিস্টার করাতে পারবেন এবং নিয়ম অনুসারে টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানান জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা ডাক্তার সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
১লা মার্চ ২০২১