কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকরের বিস্ফোরক দাবি ঘিরে উত্তাল সে রাজ্যের বিধানসভা থেকে গোটা রাজনৈতিক মহল। তিনি নাকি দাবি করেন, ২২৫ বিধায়কেরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তদন্ত হোক। তাহলেই জানা যাবে কার ক’টি অবৈধ বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। যা নিয়ে কর্ণাটকের রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের ঝড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কর্ণাটক বিধানসভাতেও তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তারপর সুধাকর আবার দাবি করেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর জন্য তিনি দুঃখিত। ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের প্রথমের দিকে। সে সময় সুধাকরদের এক সহকর্মী রমেশ জারকিহোলি জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পদ ছাড়তে বাধ্য হন। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে তাঁকে যৌনতায় লিপ্ত থাকতে দেখা যায় বলে অভিযোগ। যদি ভিডিওটি ভুয়ো বলে দাবি করেন রমেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেন। এই ঘটনার পর সম্প্রতি কর্ণাটকের ৬ মন্ত্রী আদালতের দ্বারস্থ হন। দাবি ছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া কোনও খবর যেন সম্প্রচার না করা হয়। এই ধরনের খবর সম্প্রচারের ক্ষেত্রে আদালত থেকে তাঁরা নিষেধাজ্ঞাও পেয়ে যান। এর পরেই গোটা বিষয়টি নিয়ে নৈতিকতার প্রশ্ন তোলেন বিরোধী কংগ্রেস নেতারা। নৈতিকতার প্রশ্ন তুলে কর্ণাটকের শ্রমমন্ত্রী শিবরামন হেব্বার, কৃষিমন্ত্রী বিসি পাটিল, কোঅপারেশন মন্ত্রী এসটি সোমশেখর, যুব ক্ষমতায়ন এবং ক্রীড়ামন্ত্রী নারায়ণ গৌড়া এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ভারতী বাসবরাজের পদত্যাগও দাবি করে কংগ্রেস। তার প্রেক্ষিতেই এ কথা বলেন সুধাকর। যদিও শেষ পর্যন্ত নিজের বক্তব্য থেকে পিছিয়ে আসেন তিনি।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
২৫শে মার্চ ২০২১