নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ
ভোজ্য তেলের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রথমত উৎসস্থলে দাম বাড়ছে, তার উপর একাংশ কালোবাজারি অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে সৃষ্টি হয়েছে কৃত্রিম সংকট। জনসাধারণকে অতিরিক্ত দামে ভোজ্য তেল কিনতে হচ্ছে। খোদ আগরতলার স্টকিস্টরাই অবৈধ মজুদদারী ও কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত। বেশ কিছুদিন ধরে এই অভিযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার মাঠে নামে খাদ্য দপ্তর। সেন্ট্রাল রোডের বিভিন্ন গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। ছিলেন দফতরের অধিকর্তা তপন দাস, অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস, খাদ্য পরিদর্শক সুব্রত সাহাসহ অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রায় তিন ঘণ্টা টানা অভিযান চালানো হয়। ইঞ্জিন তেলের ডিস্ট্রিবিউটর অশ্বিনী কুমার পালের দোকানে ব্যাপক অনিয়ম প্রকাশ্যে আসে বলে খবর। অভিযোগ খাতায় কলমে হিসাবপত্রর সঙ্গে গুদামে মজুদ পণ্যের কোন মিল নেই। তাছাড়া পুরোনো মাল বর্তমান দামে বিক্রি করার অভিযোগও রয়েছে। দোকানের কর্ণধার জুতসই কোন নথিপত্র দেখাতে পারেননি। এই বিরাট অনিয়মের তথ্য-প্রমাণ হাতে পেয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ হন দপ্তরের আধিকারিকরা। যেখানে করোনা মহামারীজনিত পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে বারবার বলা হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য কোনরকম কালোবাজারি, কৃত্রিম সংকট এবং অতিরিক্ত মুনাফা আদায় যেন না করা হয়, কিন্তু দেখা যায় সরিষার তেলের ডিস্ট্রিবিউটররাই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। এমনিতেই এখন বিপর্যয় মোকাবেলায় আইন লাগু রয়েছে। তাই বিভিন্ন আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দপ্তর সূত্রে জানা যায়। আগামীকালও অভিযান চলবে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে দপ্তর আধিকারিকরা অন্যান্য ব্যবসায়ী, ডিলারদেরও সতর্ক করে দেন অবৈধ মজুতদারী, কালোবাজারি এবং অতিরিক্ত মুনাফা আদায় যেন না করা হয়, অন্যথায় দপ্তর আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্য দপ্তরের অভিযান জারি থাকবে বলেও জানানো হয়। এদিকে সাধারণ মানুষও চাইছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে খাদ্য দপ্তর, মহকুমা প্রশাসন যেন নিয়মিত অভিযান চালায়।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
১৮ই মে ২০২১