Type Here to Get Search Results !

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখার পরামর্শ জাহিদ মালেকেরঃ বাংলাদেশ

আবু আলী, ঢাকা, আরশিকথা ॥

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়া রোধে সহায়ক হয়েছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি মারাত্মক। বাংলাদেশের কিছু রোগীর দেহেও এটি শনাক্ত হয়েছে। তবে ভারতের সাথে সঠিক সময়ে সীমান্ত বন্ধ করার কারণে এটি বেশি ছড়াতে পারেনি। ভারতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখার পরামর্শ থাকবে আমাদের। সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। ভ্যাকসিনের ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে কথা বলেছি, কিছু আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি, দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডোজ কেনার ব্যাপারে ভারত ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। ভারত থেকে ৩ কোটি ডোজের অর্ডার দিলেও মাত্র ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছি আমরা। তরুণদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ও বাইরে ঘোরাফেরা করে নিজের বাবা-মাকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না ফেলার পরামর্শ দেন তিনি। এদিকে, দেশে ছয় জন কোভিড রোগীর দেহে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছে আইইডিসিআর। ছয়য় জনের মধ্যে তিন জনই একই পরিবারের সদস্য। বাংলাদেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিস্থিতিতে সরকার ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করলেও, কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকা সাপেক্ষে অনেক বাংলাদেশিকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সীমান্ত বন্ধ থাকার মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়। বিগত সপ্তাহগুলোতে ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিপজ্জনক হারে বেড়েছে। প্রতিদিনই দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন। দেশটিতে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভের আঘাতে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন, বেশ ও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।


আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

১৭ই মে ২০২১
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.