Type Here to Get Search Results !

অনাথ শিশুদের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি ঐতিহাসিক : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


কোভিড অতিমারিতে অনাথ শিশুদের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যে প্রকল্প নিয়েছে তা ঐতিহাসিক। এই প্রকল্প চালুর ফলে অনাথ হওয়া শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে। বুধবার সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী সান্তনা চাকমা। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অসহায় শিশুদের কল্যাণ এবং সহায়তার জন্যই এই প্রকল্পগুলি চালু করা হয়েছে। প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সমাজ কল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রী সহায়তা প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের কারণে যে সমস্ত শিশুরা অনাথ হয়েছে তাদের সহায়তায় পিএম কেয়ারসের মাধ্যমে শিশুটির নামে ১০ লক্ষ টাকার কর্পাস ফান্ড তৈরি করা হবে।

যখন শিশুটির ১৮ বছর পূর্ণ হবে তারপর থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত ব্যক্তিগত যত্ন বা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা মেটাতে মাসিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে। শিশুটির যখন ২৩ বছর হবে তখন তাকে কর্পাস ফান্ডের মূল অর্থরাশির বাকি টাকা প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পে ১৮ বছরের নিচের শিশুদের যেকোনো কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ আবাসিক বিদ্যালয় যেমন সৈনিক বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। তিনি জানান, যদি কোনো শিশু বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, শিক্ষা অধিকার নিয়মানুযায়ী বেসরকারি বিদ্যালয় প্রদত্ত মাসিক বেতন পিএম কেয়ার্স থেকে প্রদান করা হবে। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষাঋণের নিয়মানুযায়ী শিক্ষাঋণ গ্রহণের সুবিধা পাবে এবং পিএম কেয়ার্স থেকে এই ঋণের সুদ মেটানো হবে। শিশুটির বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য মাসিক প্রশিক্ষণ খরচের সমতুল্য মাসিক বৃত্তি প্রদান করা হবে। তিনি আরও জানান, অতিমারিতে পিতা-মাতা হারা অনাথ শিশুরা আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধাভোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে এবং ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবীমার সুযোগ পাবে। পিএম কেয়ার্স থেকে এই বীমার প্রিমিয়াম প্রদান করা হবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী রাজ্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত মুখ্যমন্ত্রী বাল্য সেবা প্রকল্পের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাগুলিও তুলে ধরেন।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ

২রা জুন ২০২১
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.