বুধবার সচিবালয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও মাইক্রো ফিনান্স ইনস্টিটিউশনের সাথে এক উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রীর যীষ্ণু দেববর্মা। বৈঠকে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী করোনার এই অতিমারি সময়ে ঋণ গ্রহীতাদের ঋণের কিস্তি বিষয়ে কিভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক, ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংক আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি নেবে না।
তবে ঋণগ্রহীতারা স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি দিতে চাইলে ব্যাংক তা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি স্মল ফিনান্স ব্যাংক ও মাইক্রো ফিন্যান্স ইনস্টিটিউশন আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি গ্রহণ করবে না। তবে স্বেচ্ছায় ঋণ গ্রহীতা ঋণের কিস্তি দিতে চাইলে স্মল ফিনান্স ব্যাংক ও মাইক্রো ফিন্যান্স ইনস্টিটিউশন তা গ্রহণ করবে। এই বিষয়ে ঋণ গ্রহীতা ও এজেন্টদের অবহিত করতে ব্যাংক ও মাইক্রো ফিন্যান্স ইন্সটিটিউশনগুলি নিজেদের উদ্যোগে বাংলায় ককবরকে হ্যান্ড বিল বিলি করবে। রাজ্য সরকারও পুরো বিষয়টি স্থানীয় সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিন প্রচারমাধ্যমে জনসাধারণকে অবহিত করবে।বৈঠকে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা অতিমারির এই ভয়ঙ্কর সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও মাইক্রোফিনান্সগুলোকে ঋণ গ্রহীতাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাখেন। তিনি বলেন, ঋণ গ্রহীতাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সহায়তা করতে হবে।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২রা জুন ২০২১